লন্ডন অলিম্পিকে ভারতের টেবল টেনিস দলে বড়-বড় নামের বদলে ভরসা বাংলার দুই টিনএজার। শিলিগুড়ির দুই ১৯ বছরের তরুণ-তরুণী। সৌম্যজিৎ ঘোষ ও অঙ্কিতা দাস। দু’জনের কাছ থেকেই পদকের আশা না করলেও ভারতীয় টেবল টেনিস মহল মনে করছে, অন্তত কয়েকটা চমক ওঁদের দু’জনেরই দেওয়ার ক্ষমতা আছে। সৌম্যজিৎ আর অঙ্কিতা নিজেরাও মনে করছেন, সুযোগের সেরা সদ্বব্যবহার করে আসন্ন অলিম্পিককে স্মরণীয় করে রাখবেন তাঁরা। “আমার কাছে এটা প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট,” বলে অঙ্কিতা সংবাদ সংস্থার কাছে আরও যোগ করেছেন, “লন্ডন অলিম্পিকই আমার খেলোয়াড় জীবনের প্রথম কোনও গেমস। আমি এমন একটা পারফরম্যান্স করতে চাই যা অতীতে ভারতের কোনও টেবল টেনিস প্লেয়ার অলিম্পিকে করে দেখাতে পারেনি।” আমি চাই লন্ডনে আমার পারফরম্যান্সকে লোকে চিরকাল মনে রেখে দিক।”
অঙ্কিতার মতোই প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী শোনাচ্ছে সৌম্যজিতের কথাবার্তাও। অলিম্পিক টেবল টেনিসের প্রথম পর্যায়ে গোটাকয়েক অঘটন ঘটানোর আশা করে সৌম্যজিৎ বলছেন, “সত্যি বলতে কী, অলিম্পিকে আমার পক্ষে পদক জেতা ভীষণ কঠিন। গোটা ব্যাপারটাই আমি কেমন ড্র পাই তার ওপর নির্ভর করছে। সেটাই অনেকটা ঠিক করে দেবে, আমি কত দূর এগোতে পারব। তবে গোড়ার দিকে ভাল ড্র পেলে অন্তত কয়েকটা অঘটন ঘটানোর আশা আমার আছে।” সঙ্গে তিনি স্বীকার করেছেন, “এ বারের অলিম্পিকেই আমি যে যোগ্যতা অর্জন করব সেটা ভাবতেই পারিনি। ২০১৬ অলিম্পিকে যাওয়া লক্ষ্য ছিল আমার। তবে সুযোগ যখন এসেছে, তার পুরো সদ্বব্যবহার অবশ্যই করব।” দু’জনেই দাবি করছেন, অলিম্পিকে তাঁদের ওপর কোনও চাপ নেই। “নিজের সেরাটা দিতে পারলেই আমি খুশি,” বলেছেন অঙ্কিতা।
আর সুইডেনে প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন টেবল টেনিস তারকা পিটার কার্লসনের কড়া নজরে ট্রেনিং নেওয়া সৌম্যজিৎ বলছেন, “এর ফলে ইউরোপিয়ানদের কী ভাবে হারাতে হয় আমি অনেকটা শিখেছি। কিন্তু চিনা আর কোরিয়ানদের প্রথম পয়েন্ট থেকে অ্যাটাকিং স্টাইল সামলানো আমার পক্ষে কঠিন। তবে আমি চেষ্টার ত্রুটি রাখব না।” |