|
|
|
|
|
|
পর্দার বাইরে গৌরব চক্রবতী-র মুখোমুখি হলেন রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
দেখতে গুডবয় গোছের। ছোটবেলায় খুব শান্ত ছিলেন?
গৌরব: ঠিক উল্টোটা। পড়তাম অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চে। ক্লাসে টেরর ছিলাম। সমবয়সিদের ভীষণ পেটাতাম। স্কুলে বকা খেয়েছি প্রচুর। কেউ গণ্ডগোল করলে স্কুল থেকে ওয়ার্নিং স্লিপ ধরিয়ে দিত বাবা-মাকে দিয়ে সই করিয়ে আনার জন্য। বছরে দুটো করে স্লিপ আনতাম।
সব্যসাচী চক্রবর্তীর ছেলে...এই ব্যাপারটা ছোটবেলায় কেমন প্রভাব ফেলত?
গৌরব: একদমই না। বাড়িতে বুঝতেই দেওয়া হত না বাবা বিখ্যাত কেউ। তাই প্রথম প্রথম মাথায় ঢুকতো না বন্ধুরা বাবার নাম শুনে এমন আগ্রহ দেখায় কেন? পরে বুঝলাম স্কুলের বাকিদের বাবারা এ রকম কাজ করেন না। তাই এটা ওদের কাছে নতুন কিছু।
অভিনয়ের পরিবেশে বড় হয়েছেন। সেটাই কি অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছিল?
গৌরব: না, জয়েন্ট এন্ট্রাসের রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পর সেন্ট জেভিয়ার্সে মাস কমিউনিকেশন উইথ ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম। সিনেমা নিয়ে প্রথম পড়া। দারুণ ইন্টারেস্টিং। সেখান থেকেই সিনেমার প্রতি ভালবাসা। বিষয়টা ভাল লাগলে রেজাল্টও ভাল হয়। ক্লাসে প্রথম তিন জনের মধ্যে থাকতাম।
অভিনয় না শিখে পুণেতে এডিটিং শিখতে গেলেন কেন?
গৌরব: বাবা বললেন, অভিনয় কোর্স করে শেখা যায় না। আমারও এডিটিং নিয়ে বরাবরই আগ্রহ ছিল। অভিনয়ের যা কিছু সবই ‘চার্বাক’-এ কাজ করতে করতে শিখেছি।
চার্বাক-এ ‘তপসে’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন... বাবার জন্যই সুযোগটা সহজে মিলে গেল?
গৌরব: চার্বাকে ঢুকেই কেউ অভিনয় করে না, প্রথমে ঘর ঝাড়পোঁছ করতে হয়, টেকনিক্যাল কাজ করতে হয়। তার অনেক পরে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। আমাকেও ওই পর্বগুলো পেরোতে হয়েছে। প্রথমে অডিয়ো টেকনিশিয়ান ছিলাম। নাটকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিউজিক বাজাতে হত। মিউজিক দিয়ে নাটককে কী ভাবে সাজিয়ে তুলতে হয়, তার খুঁটিনাটি শিখেছিলাম। বাবার ট্রেনিং। তার অনেক পরে অভিনয়।
প্রথম ক্যামেরার সামনে অভিজ্ঞতা কেমন?
গৌরব: খুব খারাপ। লাজুক ছিলাম বলে অসুবিধে হত। কৌশিক কাকু প্রথম প্রথম অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। হয়তো ভাবতেন, নাটক করে এই শিখল? তবে দিনে দিনে একটু একটু করে উন্নতি হচ্ছিল। শেষ দিন বলেছিলেন তোর দ্বারা হবে। এর পর ‘গানের ওপারে’-র সুযোগ আসে। |
|
রঙমিলান্তি ছবির প্রিমিয়ারে সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে গৌরব। —নিজস্ব চিত্র। |
|
‘প্রদীপ্ত’ আর ‘গোরা’র ‘পুপে’-কে নিয়ে রেষারেষি... ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপারটা কেমন?
গৌরব: ছোট থেকেই ভাইয়ের ব্যাপারে খুব প্রোটেকটিভ ছিলাম। কেউ ওর থেকে কিছু কেড়ে নিলে মেরেটেরে সেগুলো উদ্ধার করে এনে দিতাম। যত বড় হয়েছি, বয়সের বাধা পেরিয়ে বন্ধুত্ব বেড়েছে। সব কিছু শেয়ার করা যায় ওর সঙ্গে।
দুই ভাই একই সিরিয়ালে এক সঙ্গে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে তো কিছু রেষারেষি ছিল? গৌরব: একদমই না। ‘গানের ওপারে’-তে প্রথম ‘প্রদীপ্ত’ চরিত্রটা এসেছিল। নিজেকে দেখে বেশ ভাল লাগছিল। ভাইয়ের চরিত্রটা ঢোকার পর হাওয়া ঘুরে গেল। আমি নিজেই ঘুরে গেলাম। বিশাল ফ্যান হয়ে গেলাম। বুঝতেই পারিনি ওর এমন স্ক্রিন প্রেজেন্স আছে। কোনও ট্রেনিং ছাড়াই। আর যখন লোকে বলত যে তুমি ভাল, তোমার ভাই আরও ভাল, তখন সত্যিই খুব ভাল লাগত।
‘অদ্বিতীয়া’য় অভিনয় করতে গিয়ে নাকি প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন? গৌরব: সত্যিই খুব সমস্যা হয়ে গিয়েছিল। আমারও নিজের অভিনয় দেখে খারাপ লাগত। ফেসবুকে বা এসএমএস-এ অনেকে লিখে পাঠাতেন, খারাপ কথা। বাবার যোগ্য ছেলে হইনি, নিজেকে সব্যসাচী চক্রবর্তী ভাবছি এ রকম সব মন্তব্য। খুব আপসেট হয়ে পড়তাম।
সামলালেন কী করে? গৌরব: বাবা-মা আর জয়দীপকাকু (পরিচালক) খুব সাহায্য করেছেন। ওঁদের উপদেশ খুব সাহায্য করেছিল। মাথায় ঢুকল, এত সমালোচনা শুনছি মানে এত লোক আমার কাজ দেখছে। ফেসবুক-এ কমেন্টস্ পড়া বন্ধ করে মন দিয়ে কাজটা করলাম। একটা সময়ের পর নিজেরই নিজেকে দেখতে ভাল লাগল। আসলে ভাল ছেলের রোলের পর ভিলেনের চরিত্র দর্শকদেরও অসুবিধে হচ্ছিল মেনে নিতে। আর আমার চেহারাটা এমনই যে ভাল ছেলে হিসেবেই মানায়।
এটা কি নিজের খামতি মনে করেন?
গৌরব: খানিকটা তো বটেই। একটা ধরনের মধ্যে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমার চাই চ্যালেঞ্জিং রোল। কিন্তু পাই বড়লোকের ছেলে, বিলেত ফেরত এমন সব চরিত্র। এমনকী যে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করলাম সে-ও রবীন্দ্রনাথ আওড়ানো ভিলেন। সব রকম রোলই আমার করার ভীষণ ইচ্ছে। মারপিটটা আমার দ্বারা হবে না জানি, কিন্তু নাচ-গানটা পারবো কি না, সেটা তো জানতে হবে।
এখন কী ছবি করছেন?
গৌরব: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘আসব আরেক দিন’, একটা পরিবারের গল্প যাতে দুটো লাভ স্টোরি আছে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প নিয়ে হরনাথ চক্রবর্তীর ছবি ‘ছায়াময়’। এখানে বাবা আর আমি সিনেমায় অভিনয় করলাম এক সঙ্গে।
শোনা যায়, এক সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে...
গৌরব: ঠিকই শুনেছেন। আমরা ভাল আছি, খুশি আছি। এর বেশি কিছু বলব না। |
|
|
|
• কে প্রথম কথা বলবেন? কে প্রথম চেয়ে দেখবেন? কেউ কিছুতেই পায় না ভেবে। কে প্রথম হাত মেলাবেন, তিনি না উনি?এই টানটান গান সব সিডি ক্যাসেটের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে!
হীরালাল শীল। কলেজ স্ট্রিট
• মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণে (ফেসবুক) দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এ বার ফেস (বুক) টু ফেস (বুক) লড়াইয়ে নামলেন!
প্রভাত বসু। চিড়িয়া মোড়
• ‘সাধিতে মনের সাধ, ঘটে যদি পরমাদ’ মধুসূদন দত্ত নিশ্চিত ছিলেন তাঁকে নিয়ে ‘পরমাদ’ ঘটবে। এই তো মল্লিকবাজারে কবির সমাধিস্থলে তাঁর মৃত্যুদিন পালিত হল, কিন্তু সরকারি আমন্ত্রণপত্রে লেখা হল জন্মদিন! এর আগে তাঁর জন্মদিন পালিত হয়েছে অন্য কবির ছবি টাঙিয়ে! আর এক বার তো তাঁর পদবিটাও পাল্টে গেল! বলুন তো, এক জনের ওপর কেন বার বার হামলা; কেন এই ‘মধু-দূষণ’!
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল
• বসু-স্মরণকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধী পক্ষের তরজা গান: জন্মদিনে কী আর দেব তোমায় উপহার, অগ্রিম নাও ভালবাসা (শাসক), রাস্তায় নাও প্যায়ার (বিরোধী...!
অঞ্জন দাস। হাবড়া
• মেদিনীপুরের কলেজ ক্যাম্পাসে এক গাধা এক জন ছাত্রের মার্কশিট চিবিয়ে খেয়ে গাধা বদনাম ঘুচিয়ে কি শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের সংরক্ষণের জোরালো দাবি পেশ করল?
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ
• পশ্চিমবঙ্গের জেলা বাড়ছে, জেল্লা বাড়বে কি?
শীতল মান্ডি। বাঁকুড়া
• খবরে প্রকাশ, সি এ বি এ বার স্পিন-যজ্ঞের জন্য ‘বেদি’ প্রস্তুত করতে চাইছে!
অনুষ্কা সিংহরায়। পঞ্চসায়র
• রামায়ণে লঙ্কাকে কেন ‘স্বর্ণ-লঙ্কা’ বলা হয়েছে, বোঝা গেল!
ল্যাংড়া সরকার। বর্ধমান
• সত্যি কথাটা বলুন তো দাদা, যে সব সিনেমা চোখে দেখা যায় না, সেগুলোই কি শুধু ‘কান’-এ যায়!
বোধিসত্ত্ব। বড়িশা
• দিদির কথা শিরোধার্য করে জাতির জনকের নাতি যদি উপরাষ্ট্রপতি হন, সব সম্পর্ক মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে!
রাখাল বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর |
|
|
রূপক চক্রবর্তী |
তখন সামনেই পুজো সংখ্যা। প্রস্তুতি চলেছে বিপুল উদ্যমে। হঠাৎই এক দিন সকালের দিকেই শুনলাম, সাগরদা আমায় ডাকছেন। আমাকে সাগরদা! আমি আবার কী করলাম! তাঁর সঙ্গে কখনও-সখনও দুটো-চারটে কথা হয়েছে। গাঢ়তর সবুজ রঙের কাচের ও পাশের ঘরে রাশভারী মানুষটি বসে সারা দিন কিছু না কিছু পড়ছেন। আসব? জিজ্ঞেস করে আমি তাঁর ঘরে ঢুকি।
— এটাই আমার শেষ পুজো সংখ্যা। বয়স তো হয়েছে। আর পারি না। তা তোমায় শুনলাম এঁরা চেনেন। তুমি এই তিনটে চিঠি নিজে হাতে নিয়ে গিয়ে আমার নাম করে বলো। লেখা দেয় যেন। |
দুপুরের মাঝামাঝি দফতরে ফিরতেই ডাক পড়ে, ‘এসো, এসো, বসো। কী বলল?’ সাগরদাকে এক তৃতীয়াংশ মিথ্যে বলি। কেননা তিন জনের মধ্যে এক জন লিখবেন কি না ভাববেন। অন্য দু’জন পাঠিয়ে দেবেন। পাঠিয়ে দেবেন শুনে সাগরদা যৎপরোনাস্তি খুশি হন, ‘খুব ভাল। বহু দিন পরে ওরা লিখবে।’
পুজো সংখ্যার কাজ চলেছে। অন্য দু’টি লেখাও পৌঁছেছে। আবারও এক দিন সাগরদা বললেন, ‘বাকি লেখাটার কত দূর।’ এ বার আর আমার পালানোর উপায় নেই। পর দিন সকালে দফতরে পৌঁছে সোজা সাগরদার ঘরে ঢুকে জানাই, উনি লিখবেন না।
— তুমি বলেছিলে এটাই আমার শেষ কাজ?
— আজ্ঞে হ্যাঁ।
ওঁর মুখের ওপর দিয়ে পাতলা শ্যামগম্ভীর মেঘ ভেসে গেল। কয়েক কোটি বছরের নীরবতা। ‘এত করে বলা সত্ত্বেও লিখল না!’
— আমি কি আবার যাব, সাগরদা?
— তুমি ছেলেমানুষ। তোমাকে আর কিছু করতে হবে না। কথা বলতে বলতে ঘর থেকে বেরিয়ে ঠান্ডা-নির্জন বারান্দা ধরে দূরের দিকে চলে যান। |
|
|
|
অনাথেরে শেয়ালে-কুকুরে ছিঁড়ে খায়।
কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ে পৌঁছল সেই অবস্থায়।
শিলচর উড়ে যেতে গিয়ে,
পাইলট দেখলেন রানওয়েতে কুকুরের মারামারি,
মাংসের টুকরো নিয়ে।
ঘুঁটের মালা পর,
কর্তৃপক্ষ কলকাতা বিমানবন্দর |
|
|
|
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বক্তব্য: যা তোরা
ওকে ‘টোলগে’, আমরা চাই না!
আভাস সাহা, বিজয়গড় |
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
সালটা ১৯৫৩-৫৪। আসানসোল ই আর স্কুল। ক্লাস সিক্সের ক্লাসরুম। মাস্টারমশায় কালো, লম্বা, চোখে ফ্রেমলেস চশমা, যুবক, সুদর্শন। সকলের প্রিয়। পড়াচ্ছেন আর্টিকল। শান্ত, গম্ভীর পরিবেশ। মাস্টারমশায় দেখলেন একটি ছাত্র পিছন দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনের ছাত্রটিকে কিছু বলছে। মাস্টারমশায় গ্রামার বইটি টেবিলে রাখলেন। ধীর পায়ে ছাত্রটির কাছে এসে দাঁড়ালেন। তার পর ছাত্রটির দু’গালে কষে দু’টি চড় মেরে ধীরে সুস্থিরে ফিরে গেলেন। কারণ জানতে চাইলেন না কেন ছাত্রটি ঘাড় ঘুরিয়ে ছিল। কারণ ছিল এটাই। ছেলেটি ছেঁড়া জামা পরেছিল। ভেতরে গেঞ্জি ছিল না। পেছনের ছেলেটি ছেঁড়া জামার ফাঁকে ফাঁকে আঙুল ভরে ছেলেটিকে উত্যক্ত করছিল। ছেলেটি প্রতিবাদ করতেই ঘাড় ঘুরিয়ে ছিল। আমিই সেই ছাত্র। আমি আর ওই স্কুলে এক দিনও যাইনি। এখন আমি জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। বিনা বিচারে ওই শাস্তিটি আমি আজও ভুলতে পারিনি।
অচিন্ত্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়,
পুরুলিয়া |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
বিভাগ।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|