|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
একটি স্থানচ্যুত হাইফেন |
বইপোকা |
‘হাইফেন এখন অহিফেন’। যত্রতত্র হাইফেনের ব্যবহার দেখিয়া লিখিয়াছিলাম একদা। অদ্য বলিব একটি হাইফেনের অভাবের কথা। অভাবটি আপাত তুচ্ছ, কিন্তু ভাবিয়া দেখিলে বইপাড়ার এক গভীর সংকটের সূচক। শঙ্খ ঘোষের বইয়ের ঘর গ্রন্থে ‘প্রথমেরও প্রথম’ নামে একটি প্রবন্ধ আছে। তাহা হইতে ২০২ রাসবিহারী অ্যাভিনিউর তিনতলায় অজিত দত্তের সঙ্গে লেখকের সংলাপের কিয়দংশ উদ্ধার করি: ‘শুনে তো আমি থ। টাকার প্রস্তাবে নয়, ‘কবিকাহিনী’ যে ওঁর কাছে আছে এই অস্তিত্বের ঘোষণায়। ‘কবিকাহিনী’? ১৮৭৮ সালে রবীন্দ্রনাথের প্রথম ছাপা দুর্লভ সেই বই? ওঁর কাছে?’ কিন্তু ‘কবিকাহিনী’ নামে রবীন্দ্রনাথের কোনও বই কি সত্যই আছে? রবীন্দ্রনাথের প্রথম ছাপা বইয়ের নাম কবি-কাহিনী। প্রবোধচন্দ্র ঘোষ তাহা প্রকাশ করিয়াছিলেন। ‘ভারতী’ পত্রিকায় যখন তাহা ধারাবাহিক ছাপা হইয়াছিল তখনও তাহা ছিল কবি-কাহিনী। অথচ তাহার সংস্করণ লইয়া সূক্ষ্ম বিচারের এক আশ্চর্য সুখপাঠ্য নিবন্ধে তাহা বারংবার দীর্ঘকাল ধরিয়া ‘কবিকাহিনী’ হইয়া থাকিবে কেন? কেহ বলিবেন, রবীন্দ্রনাথও তো জীবনস্মৃতি-তে ‘কবিকাহিনী’ লিখিয়াছেন। কিন্তু গ্রন্থ যে নামে প্রকাশিত হয়, তাহাই তাহার নাম, স্বয়ং লেখকও তাহা গ্রন্থের নূতন সংস্করণ না হওয়া অবধি বদলাইতে পারেন না। বিশেষত যে নিবন্ধ গ্রন্থের বিশেষ সংস্করণ লইয়া, তাহাতে গ্রন্থনামটি যথাযথ মুদ্রিত থাকিবে, ইহাই প্রত্যাশিত। প্রসঙ্গত পুলিনবিহারী সেনের কথা মনে পড়ে। এই বিষয়ে তাঁহার যত রচনা পড়িয়াছি সর্বত্র হাইফেনটি সযত্নে রক্ষিত। |
|
|
|
|
|