বিধানসভায় স্পিকারের সঙ্গে বিরোধীদের ‘সংঘাত’ অব্যাহত। স্পিকারের কাছে লিখিত আবেদন বা তালিকা জমা না-দেওয়ায় রবিবার প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্মদিনে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি পাননি প্রাক্তন বাম বিধায়করা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিধানসভার মিডিয়া সেন্টার ব্যবহার করার জন্য স্পিকারের কাছে লিখিত আবেদন করে অনুমতি পেলেন না বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে ফের তাঁকে দাঁড়াতে হল বাইরের রাস্তায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে এসে প্রণব মুখোপাধ্যায় সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মিডিয়া সেন্টারেই। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব সে জন্য স্পিকারের কাছে ‘আগাম অনুমতি’ চেয়েছিলেন। সেই আর্জি মঞ্জুরও হয়েছিল। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, সোহরাবের আবেদনের একটা ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ ছিল। কিন্তু তার বাইরে তিনি কাউকে অনুমতি দিতে রাজি নন। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সাংসদ-বিধায়কেরা এ দিন মিডিয়া সেন্টার তো বটেই, বিধানসভা চত্বরেও সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েছেন। বিরোধী দলনেতা সেই কাজই করেছেন ফটকের বাইরে। বস্তুত, প্রণববাবু যে তাঁদের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসবেন, তা জানিয়ে স্পিকারকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন সূর্যবাবু এবং সোহরাব। প্রণববাবু ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে যাওয়ার পরে বামেদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের জন্য বিরোধী দলনেতাকে অনুরোধ করা হয় সংবাদমাধ্যমের তরফে। সূর্যবাবু মিডিয়া সেন্টার ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে স্পিকারকে চিঠি পাঠান। কারণ, অধিবেশন না-চললে মিডিয়া সেন্টার বন্ধ থাকে। কিছু ক্ষণ পরেই মার্শাল মারফত বিরোধী দলনেতাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনুমতি মিলবে না। স্পিকার জানান, “কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অনুমতি চেয়েছিলেন প্রণববাবুর প্রচার এবং সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য। সেটা একটা বিশেষ পরিস্থিতি। কিন্তু এর বাইরে আমি কাউকে অনুমতি দেব না।” বাইরে সূর্যবাবুর প্রতিক্রিয়া, “নতুন করে আর কী বলার আছে! আমরা রাস্তায় আছি, রাস্তায় থাকব!” স্পিকারকে চিঠির জবাবে মার্শাল মারফত বার্তা প্রসঙ্গে সূর্যবাবুর মন্তব্য, “সৌজন্য! এটাই সৌজন্যের রাজনীতি!” |