|
|
|
|
স্থিতি ফেরার ইঙ্গিত পেলে সুদ কমাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
|
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
অর্থনীতিতে সার্বিক ভাবে স্থিতি ফেরানোই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য। আর, তার উপরই নির্ভর করছে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর পথে হাঁটবে কি না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর এইচ আর খান আজ এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। পাশাপাশি, দেশের শীর্ষস্থানীয় বণিকসভাগুলির প্রতিনিধিরা এ দিনই প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে সুদ কমানোর দাবি করেছে। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সাধারণ ভাবে তাঁরা জোর দিয়েছেন আর্থিক সংস্কারকে ত্বরান্বিত করার উপর। আর্থিক ত্রাণ প্যাকেজের দাবিও তাঁরা তুলেছেন।
আগামী ৩১ জুলাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতি পর্যালোচনা করবে। গত মাসে ঋণনীতি ফিরে দেখার সময় সুদের হারে স্থিতাবস্থা বজায় রেখেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর ডি সুব্বারাও। সেই কারণেই এ বার শিল্পমহলের তরফে সুদ কমানোর জোরালো দাবি উঠেছে। পিএইচডিসিসিআই, সিআইআই, অ্যাসোচ্যামের মতো বণিকসভার প্রতিনিধিরা রঙ্গরাজনের সঙ্গে দেখা করে চড়া সুদের প্রসঙ্গটি তোলেন। সিআইআই প্রেসিডেন্ট আদি গোদরেজ পরে বলেন, রেপো রেট (যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ নেয়) ও নগদ জমার অনুপাত বা সিআরআর (আমানতের যে অংশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে গচ্ছিত রাখে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক) দু’টিই ১০০ বেসিস পয়েন্ট করে কমানো জরুরি।
খান এ দিন ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্কের সভায় বলেন, সুদ কমলে স্বাভাবিক ভাবেই কমবে গৃহঋণের খরচ। তবে সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাতে ঋণদানে কোনও ঝুঁকি না থাকে। মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে আসা, ডলারে টাকার দামে স্থিতিশীলতা বজায় থাকা, শেয়ার বাজারের গতিপ্রকৃতি ইত্যাদির উপর নির্ভর করবে সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত।
ডলারে টাকা এ দিন আরও ৫০ পয়সা পড়েছে। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৫৫.৯২ টাকা। এক সময়ে তা নেমে যায় ৫৬.০৭-এ, যা গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে কম। পর পর ৪ দিন পড়ায় টাকা ফের পতনের মুখে পড়তে পারে বলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা। মূলত শিল্প সংস্থা ও তেল আমদানিকারীদের ডলারের চাহিদা বাড়াই টাকার পতন ডেকে আনে। |
|
|
|
|
|