|
|
|
|
সুচন্দ্রার কৃতিত্বে উচ্ছ্বাস রায়গঞ্জে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
সার্নের গবেষণাগারে ঈশ্বর কণার আবিষ্কারের পেছনে কলকাতার সাহা ইনিস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সয়ের যে পাঁচ গবেষক তথা বিজ্ঞানী নিরন্তন গবেষণা চালিয়েছিলেন, তাঁদের অন্যতম সুচন্দ্রা দত্তের সাফল্যে গর্বিত রায়গঞ্জ ইউনির্ভাসিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ। মালদহের বাসিন্দা সুচন্দ্রাদেবী ১৯৮৭ সালে ওই কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন। এরপর পিএইচডি শেষ করে তিনি পিসায় পাড়ি দেন। এর পরেই তিনি জেনিভার সার্নের গবেষক দলের সদস্য হয়ে ঈশ্বরকণার খোঁজে গবেষণা শুরু করেন। গত জানুয়ারি মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত পর পর দু’বার অধ্যক্ষ নিগ্রহের অভিযোগ ওঠায় রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের পড়াশোনা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ঈশ্বরকণা আবিষ্কারের পেছনে কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী সুচন্দ্রাদেবীর গবেষণালব্ধ কৃতিত্ব সামনে আসায় স্বস্তির নিশ্বাস পেলেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের শিক্ষক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “এই কলেজের নাম বিভিন্ন সময়ে বিতর্কে জড়িয়েছে। এই কলেজের পড়ুয়ারা যে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন তা সুচন্দ্রাদেবী প্রমাণ করে দিয়েছেন। সুচন্দ্রাদেবীর সাফল্যে কলেজের সমস্ত শিক্ষক ও পড়ুয়ারা গর্বিত। তাঁর গবেষণা সফল হওয়ায় আমরা খুশি।” কলেজের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শত্রুঘ্ন সিংহ প্রায় একই সুরে বলেন, “সুচন্দ্রা আমাদের কলেজের রত্ন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে কলেজের তরফে সংবর্ধনা দেওয়ার চেষ্টা করছি।” উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভাপতি তিলক চৌধুরী বলেন, “রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের বহু পড়ুয়া দেশে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। সুচন্দ্রাদেবী কলেজের মুখ আরও একবার গোটা বিশ্বে কলেজের ভাবমূর্তি বাড়ালেন। আশা, তাঁর সাফল্যে কলেজের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা অনুপ্রাণিত হবেন।” জেলা বামফ্রন্টের সচিব অপূর্ব পাল বলেন, “সুচন্দ্রাদেবী দেখিয়ে দিয়েছেন যে তথাকথিত নামী কলেজে পড়াশোনা না করেও সফল হওয়া যায়। সুচন্দ্রাদেবীর সময়কার শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাঁদের অবদানও অস্বীকার করার নয়। সুযোগ পেলে আমরাও সুচন্দ্রাদেবীকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের পড়াশুনার মান আগাগোড়াই ভাল। এই কলেজ থেকেই পাশ করে বহু পড়ুয়া বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কলেজের মুখ উজ্বল করেছেন। সুচন্দ্রাদেবীর সাফল্যে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি গর্বিত অনুভব করছি। তবে কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের আরও নজর দেওয়া উচিত।” |
|
|
|
|
|