তাকভর থেকেই দাঁড়াচ্ছেন গুরুঙ্গ |
ভোটে জিতে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর চেয়ারম্যান হিসেবে পাহাড়ের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার কথা ঘোষণা করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। শুক্রবার দার্জিলিঙের পাতলেবাসে দলীয় অফিসে বৈঠকের পরে গুরুঙ্গ জানান, তিনি তাঁর পুরনো কেন্দ্র তাকভর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন। একইসঙ্গে দলের মধ্যে চলতে থাকা গোষ্ঠী কোন্দলের জল্পনায় জল ঢেলে কার্শিয়াঙের একটি কেন্দ্র থেকে রোশন গিরি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন বলেও জানান মোর্চা সভাপতি। ঘটনাচক্রে, এ দিন দুপুরেই তাকভর কেন্দ্রের প্রার্থী দাঁড় করানোর কথা জানিয়ে নাম ঘোষণা করেছে সিপিএম।
এ দিন চতুর্থ দফায় ৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরে গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ চান আমি ভোটে দাঁড়াই। সকলেই জিটিএ পরিচালনা করার দায়িত্ব আমাকে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আমার প্রধান লক্ষ্য হবে পর্যটন এবং শিক্ষার হাল ফেরানো। এ ছাড়া পাহাড়ের পরিবেশ সুন্দর করা তোলাও আমার লক্ষ্য।” পাশাপাশি, দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে কোনও কোন্দল, বিভেদ নেই সেই দাবি জানিয়ে গুরুঙ্গের বক্তব্য, “অনেকেই অনেক কথা রটান। সে সবই গুরুত্বহীন। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে জিটিএ ভোটে জিতব।” এই নিয়ে মোর্চা ৪৪ জন প্রার্থীর নাম জানাল। এখন চুংটুং-ম্যারেভুং আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি রয়েছে মোর্চার। আজ, শনিবার ওই আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। পাহাড়ের মোর্চা বিরোধী অন্য দলগুলি ভোট থেকে এখন নিজেদের বিরত রেখেছে। তবে তাকভর কেন্দ্র-সহ ১৫টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে সিপিএম। তাকভরে সিপিএম প্রার্থী পদম বাহাদুর সুব্বা। প্রার্থীদের মধ্যে ৮ জন শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেন। এ দিন সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার-সহ এক প্রতিনিধিদল দার্জিলিংয়ে যান। জীবেশবাবু জানিয়েছেন, জিটিএ’র ৪৫টি আসনের মধ্যে তাঁরা ২২টি আসনে প্রার্থী দেবেন। বাকি আসনগুলির কয়েকটিতে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করবেন তাঁরা। অশোকবাবু বলেন, “পাহাড়ে স্বশাসিত অঞ্চলের দাবি বহুদিন থেকে করছি। সে জন্য ভোটে যোগ দিয়েছি।” |