টুকরো খবর |
অষ্টমীকে নিয়ে সমস্যার কথা জানাল স্কুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
বিয়ে রুখে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়া নাবালিকা অষ্টমী সরেনকে তার বাবা ঘরে ফেরাতে চাননি। তাকে তাই স্কুলের ছাত্রী আবাসেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু এ বার সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাত্রী আবাসে রাখা নিয়ে নানা জটিলতার কথা তুলে প্রশাসনকে চিঠি দিল। অষ্টমী বাঁকুড়া ১ ব্লকের কেঞ্জাকুড়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রমা মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার মহকুমাশাসককে চিঠি লিখে সমস্যার কথা জানান। তিনি বলেন, “অষ্টমীকে তার বাবা তাকে দেখে না। সেই অর্থে ওর কোনও অভিভাবক নেই। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে লম্বা ছুটি থাকার সময় সে কোথায় যাবে?” জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক নীলিমা দাসচৌধুরী অবশ্য শুক্রবার মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, অষ্টমীকে ছাত্রী আবাসেই রাখতে হবে। মহকুমাশাসক অরিন্দম রায় বলেন, “বর্তমানে অষ্টমীর বাবা ওকে না দেখাশোনা করতে চাওয়ায় ছাত্রী আবাসে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু সমস্যার কথা জানানোয় তার দিদি ও জামাইবাবুকে অভিভাবকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।” তিনি জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন। অষ্টমী এখন অবশ্য স্থানীয় একটি আশ্রমে রয়েছে।
|
দুর্ঘটনায় জখম, ভাঙচুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
|
ছবি: শুভ্র মিত্র। |
এক কিশোরকে ধাক্কা মারায় উত্তেজিত বাসিন্দারা একটি বেসরকারি বাসে ভাঙচুর চালাল। শুক্রবার দুপুর বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বিষ্ণুপুর পুরসভা মার্কেটের সামনে। ঘটনার পরেই বাসটির চালক ও কর্মীরা চম্পট দেন। জখম কিশোরের নাম কালা মাদ্রাজি (১৪)। তাকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা মার্কেটের সামনে সঙ্কীর্ণ রাস্তায় দ্রুতগতিতে বাসটি বাঁক নেওয়ার সময় ওই কিশোরকে ধাক্কা মারে। ওই এলাকাতেই তার বাড়ি। বাসিন্দাদের একাংশ বাসটি ভাঙচুর চালান। চালককে গ্রেফতার করার দাবিতে তারা কিছু ক্ষণ পথ অবরোধ করেন। পুলিশ বাসটি আটক করে তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পরে অবরোধ ওঠে। হাসপাতালে কালার মা সীতা ও বাবা কুশ মাদ্রাজি বলেন, “বেপরোয়া বাস চালানোর জন্যই ছেলে জখম হয়েছে। চালকের শাস্তি চাই।”
|
গ্রেফতারের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
|
ছবি: অভিজিৎ সিংহ। |
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে কর্মাধ্যক্ষকে মারধর করার ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে ও সুষ্ঠু ভাবে উন্নয়নের কাজ করতে চেয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিলেন বাঁকুড়া জেলার বামফ্রন্টের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সদস্যেরা। ছিলেন জেলা সভাধিপতি সিপিএমের পার্থপ্রতীম মজুমদার। তাঁদের অভিযোগ, সম্প্রতি পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতি, জয়পুরের রাউৎখণ্ড পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান ও জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষকে মারধর করা হয়। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। পার্থপ্রতিমবাবুর অভিযোগ, “জেলা জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনও নির্বিকার। আমরা সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে পারছি না।” তাঁর দাবি, জেলায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন উভয়কেই সক্রিয় হতে হবে। পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি অফিসগুলিতে অবাঞ্চিত লোকেদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার পাশাপাশি উন্নয়নের স্বার্থে আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয় আরও বাড়াতে হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ’র দাবি, “ওরাই এতদিন সন্ত্রাস চালিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।” জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি বলেন, “দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।”
|
বাল্যবিবাহ রোধে প্রচার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
রেখা কালিন্দী, বীণা কালিন্দীর মতো নাবালিকারা বাড়ির অমতে গিয়ে নিজেদের বিয়ে রুখেছিলেন। তা সামাজিক আন্দোলনের চেহারা নিলেও তাদের জেলা পুরুলিয়াতেই বাল্য বিবাহ বন্ধ করা যায়নি। তাই এ বার বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে গ্রামে গ্রামে ঢাকিদের প্রচারে নামাচ্ছে প্রশাসন। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে বাসিন্দাদের ওয়াকিহাল করবেন ঢাকিরা। জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ বলেন, “সরকারের চালু প্রকল্পে সাধারণ মানুষ কী কী সুবিধা পেতে পারেন তা প্রত্যন্ত এলাকায় ঢাকিদের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে ঢাকি নিয়োগ করা হচ্ছে।” মহকুমাশাসক (সদর) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার চালাব। কারণ ঢাকিদের দিয়ে এই বার্তা গ্রামের মানুষের অনেক কাছে পৌঁছবে।”
|
হোমে বরাদ্দ অর্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোমের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এক কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করল সমাজকল্যাণ দফতর। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি বলেন, “সরকার হোমের পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। পূর্ত দফতর এই কাজ করবে।” গত ২৪ জুন হোমের ৪২ জন আবাসিক মেয়ে হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে জেলা আদালতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এরপরেই জেলা প্রশাসন ওই হোমে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। জেলার বিধায়ক তথা রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “রাজ্য সরকার এই হোমের পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করেছে। এতদিন এই হোমের দিকে কেউ ফিরেও তাকায়নি।”
|
আইন অমান্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
|
ছবি: সুজিত মাহাতো। |
তদন্তের নামে জাতীয় অ্যাথলিট পিঙ্কি প্রামাণিকের উপর হয়রানি বন্ধ, পুরুলিয়া আনন্দমঠ হোমের পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক করা, ডাইনি অপবাদে মহিলাদের সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করা-সহ কয়েক দফা দাবিতে শুক্রবার পুরুলিয়া জেলাশাসকের অফিসের কাছে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করল গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। উপস্থিত ছিলেন মানবাজারের প্রাক্তন বিধায়ক সাম্যপ্যারী মাহাতো, সংগঠনের জেলা সম্পাদক সাম্যশান্তি মাহাতো প্রমুখ। মিছিলে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিলাসীবালা সহিসও।
|
হুমকির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
বাঁকুড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ অগ্রবালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করলেন নির্দল কাউন্সিলর সঞ্চিতা লাহা। মঙ্গলবার তিনি এই অভিযোগ করেন। সঞ্চিতাদেবী তৃণমূল পুরপ্রধান শম্পা দরিপার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর স্বামী দেবাশিস লাহার বিরুদ্ধে আগেই পুরপ্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর দিলীপবাবু প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ দু’টি অভিযোগেরই তদন্ত করছে।
|
দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদাদাতা • সাঁওতালডিহি |
বিদ্যুৎবাহী হাই টেনশন তার থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের দেহ ঝুলছিল। শুক্রবার সকালে সাঁওতালডিহি থানার ভোজুডি কোলওয়াশারির অদূর থেকে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর পঁচিশের ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। |
|