|
|
|
|
ঠিকাদারের কর্মী খুন, বিক্ষোভ পাড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাড়া |
রেলের ঠিকাদারের এক কর্মচারীকে খুন করার অভিযোগ উঠল পাড়া থানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ভৈরব বাউরি (৫১)। পাড়া থানার জোড়বেড়িয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। শুক্রবার সকালে গ্রামের কাছে, আনাড়া যাওয়ার রাস্তার পাশে তাঁর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ গেলে বাসিন্দারা পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তদন্ত করার দাবিতে দেহটি ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পরে রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য গিয়ে বাসিন্দাদের তদন্তের ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়ার পরে তাঁরা দেহটি ছাড়েন। এসডিপিও বলেন, “খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।” |
|
পড়ে রয়েছে দেহ। ঘটনাস্থলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ভৈরববাবুর দেহ পড়ে রয়েছে। দেহের উপরে পড়ে রয়েছে তাঁর সাইকেল, পাশেই রয়েছে মোবাইল ফোনটি। তাঁর চিবুকে গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গুলি চালিয়ে কিংবা কোনও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তাঁকে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেশি রাতের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ভৈরববাবু আনাড়ার বাসিন্দা রেলের ঠিকাদার দীপক মেহেতার কর্মচারী। এই খুনের পিছনে রেলের ঠিকা-কাজ সংক্রান্ত কোনও ব্যাপার রয়েছে কী না তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ভৈরববাবুর পরিবারের লোকেরাও খুনের কারণ সম্পর্কে অন্ধকারে। তাঁর ছেলে পতিতপাবন বাউরি পুলিশের কাছে একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, বাবা প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে সাইকেলে কাজে বেরিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে বলেছিলেন, পুরুলিয়া শহরে কাজে যাবেন। তিনি বলেন, “রাত ৯টায় বাবা না ফেরায় তাকে ফোন করেছিলাম। বাবা জানিয়েছিল, তখনও পুরুলিয়ায় রয়েছেন। বাড়ি ফিরতে আরও রাত হবে। পরে অনেক রাতে আবার বাবাকে ফোন করেছিলাম। ফোন বেজে গেলেও বাবা আর পোন ধরেনি।” এ দিন সকালে গ্রামের লোকেদের মারফৎ তাঁরা ভৈরববাবুর দেহ পড়ে থাকার খবর পান। পতিতপাবন বলেন, “বাবার সঙ্গে কারোর শত্রুতা ছিল না। কেন বাবাকে খুন করা হল ভেবে পাচ্ছি না।” প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে আদ্রার ডিআরএম অফিসের সামনে দিনে-দুপুরে রেলের এক ঠিকাদারকে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রেলের এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করা হলেও খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। |
|
|
|
|
|