|
|
|
|
কেশপুর পঞ্চায়েত |
গরমিল ধরা পড়ল অডিটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুকুর মালিকের সঙ্গে চুক্তি না করেই একশো দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। ফলে, পুকুরের জল স্থানীয় গ্রামবাসীরা ব্যবহার করতে পারছেন না। স্থায়ী সম্পদ তৈরির জন্য পুকুর পাড়ে গাছ লাগানো যাচ্ছে না। কেশপুরের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্মে এই গরমিল রয়েছে বলে উঠে এল অডিট রিপোর্টে। জেলা তৃণমূল নেতা চিত্ত গড়াই বলেন, “এক সময় কেশপুরে বহু দুর্নীতি হয়েছে। অধিকাংশ কাজই নিয়ম মেনে করা হয়নি। সরকারি অর্থ তছরুপ করা হয়েছে।” এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের অন্তরা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “অডিট রিপোর্টে ঠিক কী বলা হয়েছে, তা না-জেনে কোনও মন্তব্য করব না।”
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর সংস্কার করা যায়। তবে মালিকের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। নিলে ওই পুকুরের জল স্থানীয় গ্রামবাসীরা ব্যবহার করতে পারেন। পুকুরের চারপাশে গাছ লাগিয়ে স্থায়ী সম্পদ তৈরির সুযোগ থাকে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১০-’১১ আর্থিক বছরে কেশপুরের সিপিএম পরিচালিত তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৫টি ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় হয়েছে ২১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮২৫ টাকা। কিন্তু, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ মালিকের সঙ্গে সঠিক চুক্তি করেননি বলে এ জি বেঙ্গলের অডিট রিপোর্টে জানানো হয়েছে। এর ফলে, সরকারি অর্থে সংস্কার কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট পুকুরের জল ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের মানুষ। পঞ্চায়েত প্রধান নিরঞ্জন দলবেরার দাবি, “মালিকেরা চুক্তি করতে রাজি হননি। পুকুর সংস্কার না করা হলে সকলকে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া যেত না।”
প্রায় একই পরিস্থিতি সিপিএম পরিচালিত আমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ২০১০-’১১ আর্থিক বছরে এখানে ৫০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর সংস্কার করা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যয় হয়েছে ৪২ লক্ষ ৭ হাজার ৮২০ টাকা। এখানেও নিয়ম মেনে মালিকদের সঙ্গে চুক্তি না- করার ফলে পুকুর পাড়ে গাছ লাগানো যায়নি বলে অডিট রিপোর্টে জানানো হয়েছে। এর ফলে স্থায়ী সম্পদ তৈরিতে পঞ্চায়েত ব্যর্থ হয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান শান্তি ঘোষ বলেন, “সেচের কাজে জল ব্যবহারের জন্য পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। পুকুর পাড়ে গাছ লাগানোর জন্য মালিকদের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন বলে জানা ছিল না। আগামী দিনে অনুমতি নিয়ে কাজ করা হবে।” এ দিকে, এই রিপোর্ট নিয়ে সিপিএমের সমালোচনা করেছেন জেলা তৃণমূল নেতা চিত্ত গড়াই। তিনি বলেন,“ কেশপুরের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্মে বহু গড়মিল রয়েছে। তদন্ত হলেই সব ধরা পড়বে। নিয়মনীতি না- মেনে কাজ করার ফলে এলাকার মানুষকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|