সিপিএমে সেই ‘শেঠ’দেরই নিয়ন্ত্রণ
মালিকা পণ্ডাশেঠের নেতৃত্বে হলদিয়ায় পুরভোটে সাফল্যের পরে প্রত্যাশিত ভাবেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমে বজায় রইল লক্ষ্মণ শেঠ-তমালিকাদেবীদের ‘নিয়ন্ত্রণ’। শেঠ-দম্পতির পাশাপাশি, দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়ে গেলেন লক্ষ্মণ-ঘনিষ্ঠ নেতারা।
কানু সাউ ফের জেলা সম্পাদক হলেন। লক্ষ্মণবাবুর মতোই নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে জেলবন্দি অশোক গুড়িয়া, অমিয় সাউরাও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে। আবার ওই মামলাতেই অন্যতম ‘ফেরার’ অভিযুক্ত খেজুরির হিমাংশু দাসও স্থান পেয়েছেন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে।
শুক্রবার পূর্বে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠনের বৈঠকে রবীন দেব। তমলুকে পার্থপ্রতিম দাসের ছবি।
শুক্রবার নিমতৌড়িতে সম্পাদকমণ্ডলী গঠনের বৈঠক ছিল জেলা সিপিএমের। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে রবীন দেব, দীপক সরকারদের উপস্থিতিতে ১৪ জনের নতুন জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠন হয়। নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়া লক্ষ্মণবাবুকে রাজ্য সম্মেলনে রাজ্য-কমিটি থেকে বাদ দিয়েছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। তার পরেই জেলা সিপিএমে ‘লক্ষ্মণ-রাজ’ অবসানের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এ দিন তার অবসান হল। জেলবন্দি, নানা মামলায় অভিযুক্তদের নতুন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে থেকে যাওয়া বা অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জেলা সম্পাদক কানুবাবু বলেন, “ওঁদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। দল ওঁদের পাশেই আছে।”
এ দিনই লক্ষ্মণবাবুকে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডের আরও তিনটি মামলায় জুড়তে চেয়ে হলদিয়া আদালতে নথি পেশ করেছে সিআইডি। ১৬ জুলাই শুনানি হবে। নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে ‘পলাতক’ অভিযুক্ত ৬৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা বিষয়ে সিআইডি-র আবেদন নিয়েও শুনানি হওয়ার কথা ১৬ তারিখেই। অন্য দিকে, জেলবন্দি লক্ষ্মণবাবুর তরফে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দাবি করে তমলুকে জেলা আদালতে যে আবেদন করা হয়েছে, তার শুনানি হবে ১৩ জুলাই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.