বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে চমক দিল সিএবি। এক নয়, মরসুমের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেওয়া হল দু’জনকে। এঁরাঅশোক দিন্দা এবং লক্ষ্মীরতন শুক্ল। তবে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার প্রত্যাশিত ভাবেই পেয়েছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক চুনী গোস্বামী।
২০০৬-০৭ মরসুমে শেষ বার যুগ্ম ভাবে বর্ষসেরা বাছা হয় রণদেব বসু এবং মনোজ তিওয়ারিকে। শুক্রবারের বৈঠকের আগে ঠিক ছিল, বর্ষসেরা একজনই হবেন। অশোক দিন্দা। কিন্তু বৈঠকে সিএবি-র যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় নির্বাচকদের প্রস্তাব দেন, দিন্দা মরসুমে সত্তরের উপর উইকেট নিয়েছেন। নিয়মিত জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর নাম নিয়ে দু’বার ভাবার জায়গা নেই। পাশাপাশি এটাও ঠিক, লক্ষ্মী প্রায় একা হাতে বিজয় হাজারে জিতিয়েছেন। ইডেনে রঞ্জিতে অসমের বিরুদ্ধে দেড়শো আছে। আছে বডোদরার বিরুদ্ধে ম্যাচ বাঁচানো ৯৯। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সবুজ পিচে যখন বাকিরা ব্যর্থ, তখন দু’ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি ছিল লক্ষ্মীর। দিন্দার কৃতিত্বের পাশাপাশি এগুলোও ভাবা উচিত। তাই প্রস্তাব ওঠে, বর্ষসেরার সম্মান যুগ্ম ভাবে দেওয়া হোক। নির্বাচকদের কারও কারও দ্বিমত থাকলেও পরে তা মেনে নেওয়া হয়। মরসুমের সেরা বোলারও দিন্দা। |
যুগ্ম-বর্ষসেরার নির্বাচন নিয়ে দ্বিমত থাকলেও লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারের ক্ষেত্রে চুনী গোস্বামীকে সর্বসম্মত ভাবেই বাছা হয়েছে। এই পুরস্কারের জন্য বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক চুনীর সঙ্গে শোনা যাচ্ছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার সমর চক্রবর্তীর নাম। কিন্তু বাংলা ক্রিকেটে চুনীর অবদান বেশি, তাই তাঁর নামই বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া অনূর্ধ্ব-২২-এর বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন জয়জিৎ বসু। সেরা জেন্টলম্যান ক্রিকেটার বাছা হয়েছে অনুষ্টুপ মজুমদারকে। |