টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপ জয় নিয়ে সহবাগের আপাতনিরীহ একটা মন্তব্য আর তাতেই ঝড় উঠে গেল ভারতের ক্রিকেটমহলে। ভারত অধিনায়কের জন্মদিনের আগের দিন নয়ডায় এক ক্রিকেট অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করতে গিয়ে সহবাগ বলেছিলেন, “ধোনি খুব শক্তিশালী একটা দল পেয়েছিল। যখন আপনার হাতে খুব শক্তিশালী একটা দল থাকে, তখন পারফর্ম করে দেখানো সোজা। যেমন অস্ট্রেলিয়া একটা সময় করে দেখিয়েছে। আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম কারণ আমাদের টিমটা খুব শক্তিশালী ছিল আর ধোনি যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিল।” সংবাদসংস্থা এবং বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম তার ব্যাখা করে যে সহবাগের বক্তব্য, একা ধোনি ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাননি। এই মর্মে শিরোনাম দেওয়া শুরু হয়, বিভিন্ন চ্যানেলে চলতে থাকে আলোচনা।
খবর পেয়েই ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত সহবাগ টুইট করে প্রতিবাদ জানান। বলেন, “এমএসডি ভাল ক্যাপ্টেন এবং দেশের সফলতমদের মধ্যে একজন। আমার বক্তব্য থেকে কোনও কিছু অনুমান করে নেওয়া দায়িত্বহীনের মতো কাজ।” পরে দ্বিতীয় টুইট করে লেখেন, “খবর তৈরির জন্য একটা বিবৃতিকে এভাবে ব্যবহার করা দুর্ভাগ্যজনক। আমার বক্তব্যের সারমর্ম ছিল —আমাদের টিমটা গ্রেট ছিল এবং সে জন্যই ধোনির নেতৃত্বে দুটো বিশ্বকাপ জিতেছিলাম।”
অন্য দিকে জার্মানিতে নিজস্ব স্পনসরের এক অনুষ্ঠানে এক দিকে তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনায় জল ঢালছেন সচিন তেন্ডুলকর। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও জার্মানিতে বসে সচিন জানিয়েছেন, কোনও ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা এই মুহূর্তে তাঁর নেই। বিশ্রাম নেওয়া প্রসঙ্গে এক ভারতীয় টিভি চ্যানেলকে সচিন বলেছেন, “২০০৬ থেকেই এমন হয়েছে। কিন্তু আমি ক্রিকেট উপভোগ করছি এবং যত দিন খেলাটার জন্য প্যাশন থাকবে, তত দিন উপভোগ করব।” ব্যক্তিগত খেলার সঙ্গে দলগত খেলার তফাত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সচিন বলেছেন, “ব্যক্তিগত খেলায় আপনি মানসিক ভাবে খারাপ জায়গায় থাকলে আপনার নিজেরই শুধু ক্ষতি হবে। কিন্তু দলগত খেলায় যদি আপনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, সব সময়ই আপনাকে সেরাটা দিতে হবে।” শ্রীলঙ্কা সফরে না যাওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “আমি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। শ্রীলঙ্কা গেলে দেশে ফিরেই প্র্যাক্টিস নিয়ে পড়তে হবে। বাচ্চাদের সময় দিতে পারব না। বাচ্চাদের সময় দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।”
আর কত দিন ওয়ান ডে খেলতে চান? সচিনের উত্তর, “অন্যরা কী ভাবছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার কী মনে হচ্ছে সেটা জরুরি। যে দিন আমার মনে হবে আমি ওয়ান ডে টিমে আর জরুরি নই, সে দিনই সরে দাঁড়াব। যেমন টি-টোয়েন্টি টিম থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।” শ্রীলঙ্কা সফরে সচিনের সরে দাঁড়ানো নিয়ে আবার সহবাগ বলেছেন, “আমি কেন, গোটা দেশ সচিন না খেললে মিস করে। কিন্তু আমাদের বোঝা উচিত ওর ৩৯ বছর বয়স। ওর পছন্দ-অপছন্দটা জরুরি। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে ও নিশ্চয়ই খেলবে।” তাঁর ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা এখন নেই বলে দাবি করেছেন সহবাগ। “আইপিএলের প্রায় সব ম্যাচে খেলেছি। ফিটনেস নিয়ে সমস্যা নেই। শ্রীলঙ্কা সফরটাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখতে চাই,” বক্তব্য তাঁর। |