|
|
|
|
অর্থাভাবে থমকে ভবিষ্যৎ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চেয়ে-চিন্তে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে ৫ বছর ধরে পড়া চালানো যাবে তো? সংশয়ে শালবনির মৌপালের কৃতী ছাত্র শুকদেব মণ্ডল।
|
—নিজস্ব চিত্র। |
গ্রামের স্কুলেই মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন শুকদেব। শিক্ষকেরা বুঝেছিলেন, তফসিলি জাতিভুক্ত গরিব ছাত্রটি মেধাবী। মাধ্যমিকে ৮১.৭৫ শতাংশ নম্বর পাওয়ার পরেও উচ্চ-মাধ্যমিকে পড়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। অন্তরায় সেই অর্থাভাব। অবশেষে স্কুলেরই শিক্ষক তারকনাথ বিশ্বাসের সাহায্যে চন্দ্রকোনারোড সারদাময়ী হাইস্কুলের তফসিলি ছাত্রাবাসে নিখরচায় থেকে পড়ার সুযোগ মেলে। স্কুলের শিক্ষকেরাও নানা ভাবে সাহায্য করেন। উচ্চ-মাধ্যমিকে ফল আরও ভাল করেন শুকদেব। ৮৪.৮ শতাংশ নম্বর পায়। জয়েন্ট এন্ট্রান্সেও ভাল র্যাঙ্ক করে শিবপুরের বেসুতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান তিনি। স্কুলের শিক্ষকেরা প্রাথমিক ভাবে ৫ হাজার টাকা দেওয়ায় ভর্তিটা হতে পারছেন। কিন্তু ৫ বছর ধরে পড়ার খরচ কোত্থেকে আসবে?
সুখদেবের বাবা উত্তম মণ্ডল জিনিস ফেরি করে সংসার চালান। তাঁর পক্ষে ছেলের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ জোটানো অসম্ভব। তাই মৌপাল দেশপ্রাণ হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক তারকনাথবাবু নিজেই গরিব মেধাবী ছাত্রটিকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চেষ্টা করছেন বিভিন্ন মানুষের থেকে সাহায্য জোগাড় করতে। ওই শিক্ষকের কথায়, “অর্থাভাবে একজন মেধাবী ছাত্র পড়তে পাবে না! এটা কিছুতেই মানতে পারছি না।” এখনও পর্যন্ত অবশ্য সাহায্য মেলেনি। দু’একটি জায়গা থেকে সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে মাত্র। শুকদেবের আশঙ্কা, “আর কি তা হলে পড়া হবে না!” এই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন ছাত্রটি। |
|
|
|
|
|