|
|
|
|
তদন্তে সিআইডি |
১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি চন্দ্রকোনায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করবে সিআইডি। ঘটনাটি চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর পঞ্চায়েতের। অভিযোগ, সেখানে রাস্তায় মাটি ফেলার কাজে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু ঠিকমতো কাজ হয়নি। উল্টে একই ব্যক্তি একাধিক সই করে অর্থ তুলে নিয়েছেন। প্রথমে তদন্ত করে ব্লক প্রশাসন। এ বার সিআইডি-কে দিয়ে হস্তাক্ষর পরীক্ষার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জেলার নোডাল অফিসার প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, “হস্তাক্ষর পরীক্ষার পরিকাঠামো আমাদের নেই। তাই এই ধরনের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সিআইডি-র সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্লক থেকেই সেই ব্যবস্থা করা হবে।” চন্দ্রকোনা ২-এর বিডিও সৈকত হাজরার বক্তব্য, “আমরা হস্তাক্ষর সংগ্রহে এলাকায় শিবির করেছিলাম। মাইকে প্রচারও করা হয়। শিবিরে অভিযোগকারী-অভিযুক্ত, কারওরই দেখা মেলেনি।” ২০০৮-’০৯ আর্থিক বছরে ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে একটি রাস্তায় মাটি ফেলার কাজ হয়েছিল। আইজুল সরকারের বাড়ি থেকে সাজাহান মণ্ডলের জমি পর্যন্ত (কাজের কোড নম্বর ৮৪) মাটি ফেলা হয়। খরচ দেখানো হয় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা। ৩৮ জন কাজ করেছিলেন। তখন নগদ অর্থ দেওয়া হত। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার পদ্ধতি শুরু হয়নি। প্রত্যেকেই সই করে টাকা তুলেছিলেন। পরে অভিযোগ ওঠে, একই ব্যক্তি একাধিক বার সই করে বেনামে টাকা তুলেছেন। যেমন টাকা তোলার তালিকায় ১ নম্বরে থাকা সাইদুর আলি ও ৪ নম্বরে থাকা আফসার আলি খানের সই একই রকম মনে হয়েছে। ২ নম্বরে থাকা সাকির মোল্লা ও ৩৮ নম্বরে থাকা আরেশা মোল্লা বা ৩ নম্বরে থাকা সাইদুল খানের সই এবং ১৫ নম্বরে থাকা জসিমুদ্দিন সরকার ও ১৮ নম্বরে থাকা আবুল হোসেন সরকারের সইও একই রকম দেখতে বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক তদন্তও হয়। পরে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। অভিযোগকারীরা পরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ পাঠান। তখন রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফের তদন্ত শুরু হয়। প্রশাসনিক রিপোর্টও বলছে, সম্ভবত কয়েকটি সই একই ব্যক্তির। কিন্তু হস্তাক্ষর যাচাই করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই আরও একবার সই সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্লক প্রশাসন। শিবিরও হয়। কিন্তু কেউ আসেননি। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ব্লকের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তার পরেই সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। |
|
|
|
|
|