গাছ কাটা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠল পটাশপুর-১ ব্লকের সিপিএম পরিচালিত ব্রজলালপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতে।
কয়েক বছর আগে স্থানীয় কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সিংদা-প্রতাপদিঘি খালের দুই পাড়ে ৮ কিলোমিটার এলাকায় গাছ লাগানো ও পরিচর্যার দায়িত্ব দিয়েছিল পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি। চুক্তি অনুযায়ী পরিণত গাছ বিক্রি করা হলে দামের ৬০ শতাংশ পাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। বাকি টাকা যাবে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির তহবিলে। কিন্তু গ্রামের লোকেরা রাতের অন্ধকারে গাছপালা কেটে নেওয়ায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল। তাই খালপাড়ের ৮০০টি গাছ বাছাই করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্চায়েত। প্রশাসন অনুমোদনও দেয়। গাছ কাটা শুরু হয় গত ৫ জুন। |
অভিযোগ, বাস্তবে অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি গাছ কাটা ও বিক্রি হচ্ছে। এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্য দূষণ-নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে অভিযোগ জানান নড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ কর। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মণ্ডলের অভিযোগ, “এক মাস ধরে গাছ কেটে চুরি চলছে। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ না করে পরোক্ষে মদত দিচ্ছে।” বিডিও অমিতেন্দু পাল অবশ্য বলেন, “অভিযোগ পেয়ে প্রধানের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। গত দু’বছর ধরে ওই এলাকায় গাছ চুরি চলছে। সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।” আর সিপিএমের প্রধান টুলু মাইতির বক্তব্য, “গ্রামবাসীদের একাংশ গাছ কেটে নিচ্ছিল। চুরি ঠেকানোর দিকে নজর ছিল না। তাই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সুবিধার্থে কিছু গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এই সুযোগে গাছ কেটে নিচ্ছেন গ্রামের কিছু লোকজন। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করলেও নিজেদের মধ্যে বিবাদের কারণে অন্য গোষ্ঠী বাধা দিচ্ছে।” |