খাঁচায় মারা গিয়েছে এরই এক সঙ্গী।
সল্টলেকের উদ্ধার কেন্দ্রে দেবস্মিতা চক্রবর্তীর তোলা ছবি। |
বিমানবন্দরের রানওয়ে জুড়ে তাদের দাপাদাপি রুখতে পাতা হয়েছিল খাঁচা। লোভে পড়ে সেই ফাঁদে পা-ও দিয়েছিল সে। আর ধরা পড়তেই হাত পাঁচেক চওড়া সেই খাঁচায় আমৃত্যু নির্বাসন হয়ে গিয়েছিল তার। দিন পনেরো ধরে খাঁচা-বন্দি শেয়ালটির খাবার তো দূর অস্ত এক ফোঁটা জলও মেলেনি। অনাহারে ধুঁকে খাঁচাতেই মারা গিয়েছিল সেটি। সম্প্রতি বনকর্মীরা দেখেন, খাঁচায় পড়ে রয়েছে একটি পূর্ণ বয়স্ক শেয়ালের দেহের অবশিষ্ঠাংশ। সে একা নয়, রানওয়ের আনাচে কানাচে পাতা অন্য দু’টি খাঁচায় উদ্ধার হয়েছিল ধুঁকতে থাকা আরও একটি শেয়াল এবং দু’টি বন বিড়াল। বন দফতরের সল্টলেকের রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসার পথেই মারা যায় একটি বন বিড়াল। অসুস্থ অন্য একটি শেয়াল অবশ্য এখনও রয়েছে সল্টলেকের রেসকিউ সেন্টারে। বছর কয়েক আগেও একই ভাবে খাঁচায় পড়া শেয়ালের মৃত্যু হয়েছিল বিমানবন্দরে। বনবিভাগের চিফ ওয়াল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সুধাংশু বিকাশ মণ্ডল বলেন, “বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুরোধেই ওই রানওয়ে জুড়ে খাঁচাগুলি পাতা হয়েছে। কিন্তু তা নজরদারিরও প্রয়োজন মনে করে না তারা। এ ব্যাপারে অসামরিক বিমানমন্ত্রকের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে।”
|
হাত, মুখ ধুতে এসে শেষে কুমিরের পেটে যেতে হল এক মহিলাকে। পশ্চিম চম্পারণের বাল্মীকিনগর ব্যাঘ্র প্রকল্পের ঘটনা। নিহতের নাম মরক্ষী দেবী (৪০)। কয়েক মাস আগে ১৪ বছরের একটি মেয়ের একই ভাবে মৃত্যু হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাল বিকেলে বেলহানওয়া গ্রামের ওই মহিলা ত্রিহুত খালের পাশে একটি জলাশয়ে হাত, মুখ ধুতে যায়। ঘাপটি মেরে থাকা কুমির এসে হঠাৎ ওই মহিলাকে টেনে নিয়ে যায়। বাল্মীকিনগর ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা সন্তোষ তিওয়ারি জানান, ওই গ্রামের একটি জলাশয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কুমিরের বাস। কিন্তু ওই জলাশয়ের কুমির গ্রামের মানুষের কোনও সময় ক্ষতি করেনি। এর পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে ত্রিহুত খাল। সেখানকার কুমির মাঝে মধ্যেই ওই জলাশয়ে চলে আসে। অধিকর্তা বলেন, “সেখানকার কোনও কুমির এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকমাস আগে একই ভাবে একটি মেয়েকেও কুমির টেনে নিয়ে গিয়েছিল।” অধিকর্তা আরও জানান, ওই এলাকায় ত্রিহুত খালকে ঘিরে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। খাল ঘেরা হলে গ্রামের মানুষ সেখানে এসে জলে নামতে যেমন পারবে না, তেমনই কুমিরও গ্রামের জলাশয়ে ডেরা বাঁধতে পারবে না। |