|
|
|
|
নতুন সংগঠন, সিঙ্গুর নিয়ে আন্দোলনে অনিল-অনুগামীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত অনিল বসুও এ বার সিঙ্গুর নিয়ে ‘মাঠে নামলেন’। তবে সামনের সারি থেকে নয়। ‘হুগলি জেলা বেকার সমিতি’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তাঁরই কিছু ‘অনুগামী’ আন্দোলন শুরু করেছেন। নবগঠিত সংগঠনের সম্পাদক গোপাল চাকি অনিলবাবুকে তাঁদের ‘পরামর্শদাতা’ হিসাবে উল্লেখ করেন। যদিও অনিলবাবু বলেন, “এটা যুবদের ব্যাপার। আমি কোনও মন্তব্য করব না। ওদেরই জিজ্ঞাসা করুন।”
গোপালবাবু জেলা রাজনীতিতে বরাবরই ‘অনিল-ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। দল থেকে অনিলবাবুকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন ডিওয়াইএফের জেলা কমিটির সদস্য গোপালবাবু। তিনি শুক্রবার বলেন, “এটা যুব সংগঠন। উনি (অনিল বসু) প্রবীণ মানুষ, কী ভাবে এখানে থাকবেন! তবে পরামর্শদাতা হিসাবে অবশ্যই আছেন। বড় আকারে সমাবেশ করলে ওঁকে আমন্ত্রণ জানাব।” |
|
চুঁচুড়ায় সেই সভা। ছবি: তাপস ঘোষ |
বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সংগঠন তৈরির কথা ঘোষণার করেছিলেন গোপালবাবুরা। এ দিন তাঁরা ঘড়ির মোড়ে সভা করেন। সেখানে দাবি ওঠে, সিঙ্গুরে ‘ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক ভেদাভেদ’ না করে, সবাইকে মাসে ৩ হাজার টাকা করে সরকারি সাহায্য দিতে হবে। সিঙ্গুরে বিভিন্ন সময়ে যাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, সে সব প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে ‘আদালতের বাইরে’ জমি-জট সমাধান করা এবং অধিগৃহীত জমি উর্বর করে চাষিদের ফেরত দিতে হবে বলেও দাবি উঠেছে এ দিন।
নতুন সংগঠনের প্রথম দিনের কর্মসূচি ভিড় টানতে পারেনি। যদিও প্রত্যয়ী গলায় প্রাক্তন ডিওয়াইএফ নেতা গোপালবাবু বলেন, “ইতিমধ্যেই জেলায় প্রায় কুড়ি হাজার সদস্য সংগ্রহ করেছি। বিশেষত আরামবাগে আমাদের শক্তি বেশি (এই লোকসভা কেন্দ্র থেকেই সাত বার সাংসদ হয়েছেন অনিলবাবু)। এ দিন জোনাল-স্তরের সভা হয়েছে। পরে আমরা জেলা-স্তরে আরও বড় আকারে আন্দোলনে নামব।” কিন্তু সিঙ্গুরকে আন্দোলনের কর্মসূচি হিসাবে বাছলেন কেন? অনিল-অনুগামী গোপালবাবুর কথায়, “পূর্বতন বা বর্তমান কোনও সরকারই সিঙ্গুরের গরিব চাষিদের সমস্যাকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই এই আন্দোলন।” |
|
|
|
|
|