পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করল কংগ্রেস। শুক্রবার মঙ্গলকোট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ। কংগ্রেসের তরফে পুলিশকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। যদিও পুলিশ পক্ষপাতের অভিযোগ মানতে চায়নি।
কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, গত ১৬ এপ্রিল থানার কাছেই একটি স্কুলভোটকে সামনে রেখে দলের বৈঠক চলছিল। সেই সময়ে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এ ব্যাপারে দলের তরফে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। আবার তৃণমূলের তরফেও একটি পাল্টা হামলার অভিযোগ করা হয়। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, তাদের দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত শেষ করে পুলিশ চার্জশিট পেশ করে দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের দায়ের করা অভিযোগের তদন্তের নামে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, একই ঘটনায় প্রায় একই সময়ে দায়ের করা অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ দু’রকম আচরণ করছে বলে দাবি কংগ্রেসের। পাশাপাশি, তাদের আরও অভিযোগ, ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের পিন্ডিরা গ্রামে কংগ্রেস কর্মীদের উপরে ‘অত্যাচার’ করছে পুলিশ। একই রকম ঘটনা ঘটছে সাঁড়ি গ্রামেও। |
এ দিনের ঘেরাও-বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আজিজুল হক মণ্ডল ও দলের জেলা নেতা লক্ষ্মী নায়েক। জেলা কংগ্রেস নেত্রী শ্যামা মজুমদারের দাবি, “পুলিশ এখন তৃণমূলের কথা মতো কাজ করছে। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষজনের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ক্ষেপে উঠলে কিন্তু পুলিশের পাশে তৃণমূল নেতাদের দেখা যাবে না।” আর এক জেলা কংগ্রেস নেতা জগদীশ দত্তের অভিযোগ, “সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এখন তৃণমূলে যোগ দিয়ে কংগ্রেসকে উচ্ছেদ করতে চাইছে। আর তাতে সাহায্য করছে পুলিশ।” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আজিজুল হক মণ্ডলের আবার দাবি, “ক্ষমতায় থাকাকালীন সিপিএম যেমন করেছিল, তেমন ভাবে এখন পুলিশকে দলদাসে পরিণত করছে তৃণমূল। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।” তৃণমূলের মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর অবশ্য পাল্টা দাবি, “পুলিশ দলমত নির্বিশেষে দুষ্কৃতীদের ধরছে। অন্যায় করলে তৃণমূলের লোকজনেরাও ছাড় পাচ্ছে না। আজ থানা ঘেরাওয়ের ঘটনার পরে বোঝা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিচ্ছে কংগ্রেসই।” পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি মঙ্গলকোট থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার। তিনি বলেন, “পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও করবে।” |