দুর্নীতি ও দলতন্ত্র-সহ বেশ কিছু অভিযোগে টাকির তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল সিপিএম। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১০-এর নির্বাচনে টাকি পুরসভায় ১৬টির মধ্যে তৃণমূল ৬টি, সিপিএম ৬টি, কংগ্রেস ২টি, সিপিআই এবং নির্দল একটি করে আসন দখল করে। তৃণমূল এবং নির্দল জোট করে বোর্ড গঠন করে। তাদের সমর্থন করে কংগ্রেস। সম্প্রতি দলীয় কাউন্সিলরদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তুলে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় কংগ্রেস। মঙ্গলবার ৭ বাম কাউন্সিলার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।
পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’বছর ধরে বোর্ড পরিচালনা করছি। কখনও কোনও কাউন্সিলার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি। হঠাৎ এখন কংগ্রেসের সমর্থনে নাটক শুরু করেছে বামেরা। দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করব।” এ ব্যাপারে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শ্রীদ্বীপ রায়চৌধুরী বলেন, “মূলত দুর্নীতি, দলতন্ত্র এবং টাকির উন্নয়ন স্তব্ধ হওয়ার কারণে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে বাধ্য হয়েছেন দলীয় কাউন্সিলাররা।”
অন্য দিকে, সন্দেশখালি ২-এর দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েত সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে অনাস্থা এনেছে তৃণমূল। দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েতে ১৪টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৬টি, তৃণমূল ৬টি, সিপিআই এবং নির্দল ২টিতে জয়ী হয়। প্রধান হন সিপিএমের রামকৃষ্ণ মণ্ডল। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে ৮ সদস্যের সমর্থন নিয়ে অনাস্থা আনে তৃণমূল। ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ সিপিএমের দুই সদস্য সেই অনাস্থায় সই করেছে বলে দাবি তৃণমূলের। দলের ব্লক সভাপতি ও দুর্গামণ্ডপের পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মণ অধিকারী বলেন, “দিন তিনেক আগে সিপিএমের উপপ্রধান বন্দনা নাইয়া এবং পঞ্চায়েত সদস্য অর্চনা মণ্ডল আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের নিয়ে দলের ৬ সদস্য ওই অনাস্থায় সই করেছেন।” রামকৃষ্ণবাবু বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। গোটা ঘটনাটি দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।” |