|
|
|
|
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ |
আধিকারিক-তৃণমূল কর্মী সংগঠনের দ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের বিরোধ প্রকাশ্যে এল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে। জেলা পরিষদের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, উন্নয়নের অর্থ বরাদ্দ অনুমোদনে অসহযোগিতা-সহ নানা অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত জেলা পরিষদ কর্মচারী সমিতি। তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের পদস্থ সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মী সংগঠনেরই এই বিক্ষোভে জেলার রাজনৈতিক-মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। দলের জেলা নেতৃত্ব এতে সমর্থনও জানিয়েছেন। এ দিকে, এই বিরোধে জেলায় উন্নয়ন-প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা অবশ্য বলেন, “জেলার উন্নয়নে বরাদ্দ অর্থ যথা সময়ে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কয়েকজন আধিকারিক অসহযোগিতা করছেন। এ ছাড়াও জেলা পরিষদের কর্মচারীদের সঙ্গে আধিকারিকরা দুর্ব্যবহার করেন এমন অভিযোগও এসেছে। আজই জেলাশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে সংঘাতের কিছু নেই।”
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ অনুমোদন ছাড়াও জেলা পরিষদের কর্মচারীদের সঙ্গে আধিকারিকদের ‘আচরণ’ নিয়ে বিরোধ চলছে কয়েক মাস ধরে। কর্মচারীদের অভিযোগ, কয়েকজন আধিকারিক অপমানজনক ব্যবহার করেন। জেলার উন্নয়নের বরাদ্দ কয়েক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে না সরকারি আধিকারিকদের অসহযোগিতায়। উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত জেলা পরিষদ কর্মচারী সমিতির সম্পাদক সুকুমার বারুই ও সভাপতি দেবকমল দাসের নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদ অফিসের সামনে অধিকাংশ কর্মী জড়ো হয়ে আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। সুকুমার ও দেবকুমারবাবুদের অভিযোগ, “কর্মীদের সঙ্গে জেলা পরিষদের কয়েকজন পদস্থ আধিকারিক নানা অছিলায় দুর্ব্যবহার করেন। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে আগে জানানো হলেও পরিবর্তন হয়নি।” দেবকমলবাবুর অভিযোগ, ‘‘সরকারি আধিকারিকদের অসহযোগিতার ফলে স্বাস্থ্য-বিধান প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ১১ কোটি ও নলকূপ বসানোর জন্য বরাদ্দ প্রায় ২ কোটি টাকা বণ্টনে অনুমোদন হয়নি। ওই টাকা নির্দিষ্ট সময়ে খরচ হয়নি। ফলে উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।” বিহিত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
কর্মচারী সংগঠনের তোলা অভিযোগ নিয়ে জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সঞ্জয়কুমার সরকার বলেন, “কর্মচারীদের বিক্ষোভের কথা শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” এ দিকে জেলা পরিষদের তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত কর্মচারী সমিতির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সমর্থন করে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “কর্মচারীদের আন্দোলনে আমাদের নৈতিক সমর্থন রয়েছে। ওঁদের বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবি নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসনকে বলেওছি।” |
|
|
|
|
|