|
|
|
|
কী ভাবে কুয়োয় পড়েন শওকত, তদন্তে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সোমবার সকালে শালবনির ভাদুতলার জঙ্গলের কুয়ো থেকে উদ্ধার হওয়া প্রৌঢ় শেখ শওকত এখনও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। ঠিক কবে এবং কী-ভাবে তিনি কুয়োয় পড়েন নাকি তাঁকে কুয়োয় ফেলা হয়সে নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরির নির্দেশে সোমবার রাতেই মেডিক্যাল কলেজে এসে শওকতের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন শালবনি থানার এক পুলিশ অফিসার। ঠিক কী হয়েছিল, পরিজনেদের কাছ থেকে তা জানতে চান। শওকতের সঙ্গেও কথা বলেন। তবে অসুস্থ ওই প্রৌঢ় এখনও ভাল ভাবে কথা বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, এক যুবক তাঁকে কুয়োর মধ্যে ফেলে দেন।
শওকতের বাড়ি শালবনি থানার পিরাকাটার পাথরি গ্রামে। রাঁধুনির কাজ করেন। গত কয়েক মাস ধরে মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করছেন। মেদিনীপুরেই থাকতেন। ১৫-২০ দিন অন্তর একবার বাড়ি যেতেন। গত বুধবার বাড়ি গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে মেদিনীপুরে আসার জন্য ট্রেকারে ওঠেন। কিন্তু শহরে এসে আর কাজে যোগ দেননি। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সোমবার সকালে ভাদুতলার জঙ্গলের একটি পরিত্যক্ত কুয়োর মধ্যে থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, কী ভাবে শওকত ট্রেকারে মেদিনীপুরে পৌঁছেও ফের ভাদুতলায় গেলেনতা স্পষ্ট নয়। শওকতের বড় ছেলে শেখ সৈরত বলেন, “বাবাকে কে বা কারা মিষ্টি খাইয়েছিল। তার পর উনি বেহুঁশ হয়ে পড়েন বলে জানতে পেরেছি। তবে ঠিক কী হয়েছিল, কারাই বা এ ঘটনা ঘটাল, তা আমরাও বুঝে উঠতে পারছি না।” পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে এখনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। তবু বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শালবনি থানার আইসি বৈদ্যনাথ ঘোষ এ নিয়ে ইতিমধ্যে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার আইসি জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|