সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপরে ‘হামলা’
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গোঘাটের কোকন্দ, তিলাড়ি, সেলামপুর এবং ভেউটিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। মারধরে জখম এক সিপিএম নেতা-সহ ৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। ৬ জনের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। একটি দোকান এবং কয়েকটি বাড়িতে লুঠপাট চলেছে বলেও অভিযোগ। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরাই এই ঘটনায় জড়িত বলে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি। যদিও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সোমবার রাতে কয়েকটি বাড়িতে হামলা, লুঠপাটের ঘটনার লিখিত অভিযোগও জানানো হয়নি থানায়। সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “গত দু’দিন ধরে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে তৃণমূল হামলা চালাচ্ছে। পুলিশকে লিখিত ভাবে সে কথা জানাতেও সাহস পাচ্ছেন না অত্যাচারীতেরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ফরিদ খান অবশ্য বলেন, “ঘটনাগুলির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। গ্রামের মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে অত্যাচারিত হয়েছেন। জনরোষেই এই কাণ্ড ঘটেছে।” |
তৃণমূল অফিসে হামলার নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের ফুলিয়াচক গ্রামে। তৃণমূল নেতা শেখ নয়নের অভিযোগ, “দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কার্যালয়ে কেউ ছিল না। সিপিএমের লোকজন আমাদের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। টিনের ছাউনি বাঁশের ঘা দিয়ে তুবড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় দুই দলীয় কর্মী তপন ঘোড়ুই ও শেখ মাকসুদ আলি প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।” খানাকুলের সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার জন্য তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’কে দায়ী করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। |
গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বাবাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন খানাকুলের কংগ্রেস নেতা আসফার হোসেন চৌধুরী। ওই নেতার বাবা নওয়াজ চৌধুরীকে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার রাতে। খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার করানোর পরে তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওই রাতেই পুলিশ আফসারকে গ্রেফতার করে। মারধরের ঘটনাটিকে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ বলে উল্লেখ করে ওই কংগ্রেস নেতা বলেন, “সম্পত্তি বাটোয়ারা নিয়ে বাবার পক্ষপাতিত্বের কথা বলায় বচসা হয়েছিল। মারধরের ঘটনা মিথ্যা।” |
লোক আদালত আরামবাগে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা বিদ্যুৎ চুরি-সংক্রান্ত শ’তিনেক মামলার নিষ্পত্তির জন্য এ বার লোক আদালতের ব্যবস্থা করা হল আরামবাগে। বণ্টন কোম্পানির আরামবাগ শাখা সূত্রের খবর, অতিরিক্ত জেলা বিচারক অমরেন্দ্রনাথ রায়ের নির্দেশে আগামী ২১ জুলাই লোক আদালতের ব্যবস্থা হয়েছে। নির্দিষ্ট দিনে মামলার নিষ্পত্তি না হলে আরও কয়েকটি দিন স্থির করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল। |
ধোঁয়া দেখে রোখা হল কালকা মেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কামারকুণ্ডু |
কামরার নীচ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে কামারকুণ্ডু স্টেশনে থামানো হল দিল্লিগামী কালকা মেল। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ নাগাদ যাত্রীদের একাংশ এস ৪ কামরার নীচ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্টেশন ম্যানেজারকে খবর দেন। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের ইঞ্জিনিয়ারেরা। সব যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেনের ব্রেক শু’র ঘর্ষণে ওই ধোঁয়া বের হচ্ছিল। প্রয়োজনীয় মেরামতির পর রাত ৮টা ৪৫ নাগাদ ট্রেনটি ফের দিল্লির দিকে রওনা দেয়। |
প্রতিবন্ধীদের নানা সাহায্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সোমবার আরামবাগ ব্লকের সভাগৃহে কয়েক জন প্রতিবন্ধীকে সরঞ্জাম দান ও ব্যবসার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হল। টাকা পেয়েছেন ১৮ জন। ১৬ জনকে নানা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। প্রতিটি ব্লকেই পর্যায়ক্রমে এই কার্যকম চলবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। |
পুলিশের সামনেই জনতার হাতে আক্রান্ত হলেন খুনের অভিযোগে ধৃত এক আসামি। মঙ্গলবার, মালিপাঁচঘড়া থানার সামনে। পুলিশ জানায়, বছর দুই আগে ঘুসুড়িতে বাড়ির সামনে খুন হন তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ সাউ। সোমবার ওই খুনের আসামী ধর্মেন্দ্র সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন ধৃতকে আদালতে আনার জন্য গাড়িতে তোলার সময়ে মৃতের পরিজন ও দলীয় সমর্থকেরা তাঁর উপরে চড়াও হয়। পরে পুলিশ ধর্মেন্দ্রকে উদ্ধার করে আদালতে নিয়ে যায়। |