পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। গ্রেফতার করা হয়েছে মন্টু মণ্ডল নামে ওই যুবককে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের পুকুরিয়া গ্রামে। মঙ্গলবার তাঁকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ধৃত যুবক তৃণমূল কর্মী। মেয়ে দু’টির বাড়ির লোকের অভিযোগ, তাঁরা থানার দ্বারস্থ হওয়ায় হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা মদন বায়েন বলেন, “হুমকির অভিযোগ মিথ্যা। ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি আমরাও। দলকে হেয় করতে আমাদের কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে।” যার কারণ হিসাবে তৃণমূল নেতার ব্যাখ্যা, “ওই দুই পরিবারের একটি সিপিএম এবং অন্যটি বিজেপি-র ঘনিষ্ঠ।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই কিশোরী তাদের আরও এক সহপাঠী এক সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। মাঝপথে শীতলামন্দির-সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়েছিল তারা। সে সময়ে মন্টু তাদের শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এক ছাত্রী কোনও মতে পালিয়ে বাড়িতে বিষয়টি বলে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের কিছু লোক মন্টুর বাড়ি গিয়ে হাজির হয়। খাটের তলা থেকে ওই যুবককে বের করে মারধর করে জনতা। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুই ছাত্রীর বাবা থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন।
মন্টুর অবশ্য দাবি, গোটা ঘটনাটি ‘সাজানো।’ তাঁর কথায়, “বাচ্চা মেয়েগুলো আমাকে রাস্তায় দেখতে পেলেই কটূক্কতি করত। হাতের কাছে পেয়ে ওদের চড়-থাপ্পড় মেরেছি। আটকে রেখে ওদের বাবাকে ডেকে আনব বলে ভয় দেখিয়েছিলাম।” |