মন্ত্রিসভা থেকে প্রণব মুখোপাধ্যায় পদত্যাগ করার পর রাহুল গাঁধীকে সরকারে সামিল করাতে কংগ্রেসের অন্দরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। আজ বিদেশমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এস এম কৃষ্ণ বিষয়টি নিয়ে জোরালো সওয়াল করে বলেছেন, “বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়তা করার জন্য রাহুল গাঁধীর সরকারে যোগ দেওয়া খুবই প্রয়োজন। আমরা সব সময়ই রাহুলকে সরকারে যোগ দেওয়ার কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁকে। তবে রাহুল এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।”
কৃষ্ণ একা নন, তাঁর অনেক সতীর্থই এ ব্যাপারে সরব। প্রণববাবুর ইস্তফার আগের দিন রাহুল নিজে নর্থ ব্লক গিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। আর্থিক সঙ্কট থেকে শুরু করে সরকারে কী ধরনের রদবদল হতে পারে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে সে দিন প্রণববাবুর কাছে বিস্তারিত পাঠ নিয়েছেন রাহুল। এই বৈঠকটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রণববাবু নিজেও মনে করেন রাহুলের সরকারে আসার সময় হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি কথাও বলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। সম্প্রতি কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তথা গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ভুপিন্দর সিংহ হুডা রাহুলকে সরকারে আনার দাবি তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ক্ষেত্র প্রস্তুত। রাহুল এলে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সরকার নতুন করে অক্সিজেন পাবে। অজিত জোগীও একই মত জানান। এমনকী মন্ত্রী জয়রাম রমেশের ইচ্ছে, রাহুলকেই লোকসভার নেতা করা হোক। বিষয়টি নিয়ে রাহুলের তরফে এখনও কোনও সবুজ সংকেত মেলেনি। তবে প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার পর একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে সরকারে। এমতাবস্থায় রাহুল সরকারে আসতে রাজি হন কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা চলছে। শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা রহস্যেই ঢেকে রেখেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও রাহুল স্বয়ং। |