এক দিকে অলিম্পিকের ডাবলসে (সঙ্গী রুশ্মি চক্রবর্তী) ওয়াইল্ড কার্ড হাতে আসতেই পেজ পরিবারের উদ্দেশ্যে কড়া বিবৃতি। অন্য দিকে উইম্বলডন ডাবলসে (সঙ্গী বেথানি মাটেক) স্বচ্ছন্দে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখা। লন্ডনে একই দিনে যেন জোড়া জয় পেলেন সানিয়া মির্জা। দেশের টেনিসে ঘনীভূত তীব্র সঙ্কট আর অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় চ্যালেঞ্জ শুরু হয়ে গেল উইম্বলডনে। সানিয়া আজ নামলেন। কাল নামার কথা লিয়েন্ডার, মহেশ-বোপান্নার। কালই উইম্বলডনে মিক্সড ডাবলসের ড্র ঘোষিত হবে। যেখানে ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন মহেশ-সানিয়া একসঙ্গে খেলবেন ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ডস্লামেও। আর লিয়েন্ডারের সঙ্গী হবেন সানিয়ার প্রাক্তন ডাবলস পার্টনার এলেনা ভেসনিনা। |
স্বভাবতই প্রচণ্ড চাপ লি-হেশের ওপর এ বার উইম্বলডনে। অলিম্পিকে খেলা না খেলা নিয়ে এত দিন তাঁরা যত কথা বলেছেন, সেগুলো কোর্টে এ বার প্রমাণ রাখার পালা দু’জনের কাছেই। হয়তো সানিয়া, বোপান্নার কাছেও। অলিম্পিক আবার কিনা উইম্বলডনেই! ১৩ নম্বর বাছাই সানিয়া-মাটেক জুড়ি প্রথম রাউন্ডে ৬-৪, ৬-৩ হারালেন রুশ-মার্কিন টিম কুদ্রিয়াভসোভা-স্টিফেন্সকে। সিঙ্গলসে মহাতারকাদের মধ্যে প্রথম রাউন্ডে জিতলেন নাদাল, অ্যান্ডি মারে সেরেনা, আজারেঙ্কা, সঙ্গারা। নাদাল শুরুতে ০-৪ পিছিয়ে পড়ার পরে বেলুচ্চির বিরুদ্ধে স্বমূর্তি ধরে জেতেন ৭-৬ (৯-৭), ৬-২, ৬-৩।
|
সিএবি-র প্রেসিডেন্ট পদে সম্ভবত থেকে যাচ্ছেন জগমোহন ডালমিয়াই। যাবতীয় ধোঁয়াশা কাটিয়ে। আগামী ২৮ বা ৩০ জুলাই সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভা। চলতি বছরে সিএবি-র বিভিন্ন পদে কর্তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মাঝে রটে গিয়েছিল অন্যান্য পদে নির্বাচন তো হবেই, এমনকী সরকারের পক্ষ থেকেও প্রার্থী দেওয়া হতে পারে। শোনা যাচ্ছিল, খোদ ডালমিয়াকেও প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচন লড়তে হতে পারে। আর ডালমিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ। কিন্তু সিএবি-র অনুমোদিত সদস্যদের মধ্যে ৬৭ জন এসে ডালমিয়াকে লিখিত ভাবে জানিয়ে গেলেন, তাঁরা বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই আছেন। সিএবি-র অনুমোদিত সদস্যের সংখ্যা ১২১-টি। নির্বাচনে যাদের ভোট থাকে। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে গেলে ৬১-টি ভোট লাগে। আপাতত ৯৪-টি সদস্যের মতামত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৬৭ জন ডালমিয়ার পক্ষে। অর্থাৎ, ইতিমধ্যেই তিনি ‘মেজরিটি’ পেয়ে গিয়েছেন এবং তাঁর ভোট সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, জেলার মতামত এখনও নেওয়া হয়নি। হাইকোর্টের রায়ে সরকারের জেলা কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত খারিজ হলেও সমস্ত জেলা ক্লিনচিট পয়নি। সিএবি-র উচ্চপদস্থ কর্তাদের মনে হচ্ছে, ফের নিরঙ্কুশ আধপিত্যের দিকেই এগোচ্ছেন ডালমিয়া। তবে প্রেসিডেন্ট নিয়ে জল্পনা মিটলেও অন্যান্য প্রার্থী নিয়ে নাটক শেষ হয়নি। বরং শুরু হল বলে।
|
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হলেও, তিনটে শর্ত দিলেন টোলগে ওজবে। মঙ্গলবার আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে যে মেল পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার, তাতে বলেছেন, “আমি ১০ জুলাইয়ের পরে আলোচনায় বসতে রাজি। আলোচনার সময় আমার সঙ্গে আমার আইনজীবী থাকবে। সব কথাবার্তা হবে আপনার উপস্থিতিতেই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আলোচনা হবে না। কোনও নিরপেক্ষ জায়গায় করতে হবে।” আইএফএ-কে তো বটেই, মেলের একটা করে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে ইউবি গ্রুপের চেয়ারম্যান বিজয় মাল্য, ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার এবং মোহনবাগানকেও। এখন প্রশ্ন, টোলগের দেওয়া তিন শর্ত কি মানবে ইস্টবেঙ্গল? সচিব কল্যাণ মজুমদার অবশ্য বললেন, “নিরপেক্ষ জায়গায় বসতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। তবে আইএফএ কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাও দেখতে হবে।”
|
বছর দুই আগে রিবেরি-আনেলকাদের ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ২৫ গজের দুরন্ত গোল করেছিলেন তিনি। গত নভেম্বরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিরুদ্ধে জিততে জিততে ২-২ ড্র করে তাঁর দল। কোস্তা রিকার সেই বিশ্বকাপার কার্লোস এর্নান্দেজ কলকাতায় পৌঁছলেন মঙ্গলবার সকালে। প্রয়াগ ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে। শহরে পা দিয়েই তিনি বললেন, “কলকাতায় ফুটবল খেলাটা তাঁর কাছে দারুণ চ্যালেঞ্জের।” ২০০৬ বিশ্বকাপে কার্লোস খেলেছেন সাকুল্যে ৫২ মিনিট। ইকুয়েডর এবং পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন বদলি হিসাবে। কলকাতায় আসার আগে তিনি খেলছিলেন ‘এ’ লিগের ক্লাব মেলবোর্ন ভিক্ট্রিতে। সেখানে দু’বছর আগে এ লিগের সেরা ফুটবলার হন।
|
অনূর্ধ্ব ১৬ বাংলা ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রাথমিক পর্বের বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল জেলার ৪ ক্রিকেটার। তারা হল অঞ্জণাভ সাহা, ইমতিয়াজ আলম, শুভজিৎ দাস ও শুভম মুখোপাধ্যায়। প্রথম দু’জনের বাড়ি সিউড়িতে। অন্য দু’জনের বাড়ি সাঁইথিয়া এলাকায়। জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার প্রবাল ঘোষের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি সল্টলেক স্টেডিয়ামে রাজ্যের ৫০০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০ জনকে বাছা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে ২৫ জনের অনূর্ধ্ব ১৬ বাংলা দল গঠন করা হবে। প্রবালবাবুর আশা, তাঁর ছাত্রেরা চূড়ান্ত পর্যায়ে বাছাইয়ের পর বাংলা দলে খেলার সুযোগ পাবে।
|
জাতীয় স্তরে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পুরস্কৃত হলেন জেলার দুই কৃতী খেলোয়াড় রাজকুমার দাস ও লক্ষ্মণ হেমব্রম। গত ১৯ জুন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রায় ৫০০ জন বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রীড়াবিদকে সম্মানিত করা হয়। এঁদের সঙ্গেই পুরস্কৃত হন জাতীয় স্তরের তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জয়ী লাভপুরের কুরুম্বা হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রাজকুমার দাস এবং মহম্মদবাজারের হেরুকা হাজি সুলেমান বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাঁইথিয়ার বাগডোলা গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ হেমব্রম। তাঁদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে সাম্মানিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। |