কোন ব্যাগে কী জিনিস নেবে
বছর বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ফল সেশনে যে সব ছাত্রছাত্রী ভর্তির ডাক পেয়েছে তাদের প্রথমেই দরকার স্টুডেন্ট ভিসা, যা যে দেশে যাচ্ছে সেই দেশের হাই কমিশন বা কনসুলেট থেকে পাওয়া যায়। টিকিট কাটার সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে দিনের বেলায় পৌঁছনো যায়। ভিসা হাতে পাওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় ব্যাগ গোছানোর পালা। গোছানোর সময় আগেই ভাবতে হবে কোন কোন জিনিস হাতব্যাগে রাখবে আর কোনগুলো স্যুটকেস বা বড় ব্যাগে ঢুকিয়ে একেবারে বিদেশে গিয়ে খুললেই চলবে। হাতব্যাগে যা-যা অবশ্যই রাখতে হবে, সেগুলো হল
১) বৈধ পাসপোর্ট,
২) প্লেনের টিকিট,
৩) যে দেশে যাচ্ছ, সেই দেশের মুদ্রায় কিছু খুচরো টাকা, নইলে মার্কিন ডলার,
৪) ট্রাভেলার্স চেক, ক্রেডিট কার্ড। প্লেনে ওঠার আগে ও পরে বেশ কয়েকবার নানা ফর্ম ফিল-আপ করতে হয়। তার জন্য পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যু ডেট, এক্সপায়ারি ডেট আর ভিসার নম্বর একটা ছোট নোটবইয়ে লিখে পকেটে বা হাতব্যাগে রাখো। সেই নোটবইতে ইউনিভার্সিটির ঠিকানা, হস্টেলের ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদিও লিখে রাখো।
৫) দরকারি ওষুধ, প্রেসক্রিপশন সহ,
৬) বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন দেওয়া হয়ে থাকলে তার রশিদ,
৭) পড়ার খরচের অর্থ জোগানের প্রমাণপত্র,
৮) মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদির অরিজিনাল এবং অ্যাটেস্টেড বা প্রত্যয়িত ফটোকপি,
৯) থাকবার ব্যবস্থার কাগজপত্র,
১০) হালকা একটা সোয়েটার বা শাল।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ির জন্য বিদেশে যাওয়ার সময় বেশ কিছু জিনিসপত্র হাতব্যাগে রাখা যাবে না। যেমন দেশলাই, লাইটার, ছুরি বা ধারালো জিনিস, নেলকাটার, সেভিং জেল, জল, পারফিউম ইত্যাদি। তরল জাতীয় কোনও কিছু হাতব্যাগে নেওয়া যাবে না। এ সমস্ত জিনিসই বড় লাগেজে ভরে চেক-ইন করতে হবে। বাকি যে সমস্ত দরকারি জিনিসপত্র বড় লাগেজে নিতে হবে, সেগুলি হল পাসপোর্ট সাইজ ফটো, চা, কফি, গুঁড়ো দুধ, চিনি, বিস্কুট, প্লেট, কাপ, চামচ, একটা বড় বাজারের ব্যাগ, তালা-চাবি, রবারব্যান্ড। খাবার সঙ্গে নিলে সিল করা বোতল বা প্যাকেটে নিলে ভাল হয়। স্নিকার ধরনের জুতো নেওয়াই ভাল। যারা ঠান্ডার দেশে যাচ্ছ, তারা কটস উলের গেঞ্জি, প্যান্ট, স্কাল ক্যাপ নিতে ভুলো না। ওয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট ও ছাতা নেবে। ওভারকোট, আইস বুট, গ্লাভস এগুলো বিদেশে কেনাই ভাল। পছন্দের বই, ক্যাসেট, পোস্টার, ফটোগ্রাফ নিয়ে যেও যাতে ঘরটা নিজের মতো করে সাজিয়ে পছন্দের পরিবেশ তৈরি করতে পারো।
পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যু ডেট, এক্সপায়ারি ডেট আর ভিসার নম্বর একটা ছোট নোটবইয়ে লিখে পকেটে বা হাতব্যাগে রাখো।
দেশলাই, লাইটার, ছুরি বা ধারালো জিনিস, নেলকাটার, সেভিং জেল, জল, পারফিউম ইত্যাদি হাতব্যাগে রাখা যাবে না।
খাবার সঙ্গে নিলে সিল করা বোতল বা প্যাকেটে নিলে ভাল হয়।
বিদেশে মিডিয়া নিয়ে পড়তে চাই। ব্রিটেনে পড়ার সুযোগ কেমন?
মৈনাক ভট্টাচার্য, খড়দা
মিডিয়া বলতে সাধারণত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক আর ইন্টারনেট-বেসড মিডিয়াকে বোঝায়। অ্যাডভার্টাইজিং, প্রিন্টিং/প্রোডাকশন, মার্কেটিং, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ফিনান্স প্রভৃতি নানা দিকে কাজের সুযোগ রয়েছে। টেলিভিশনে কেরিয়ার করতে হলে জানতে হবে সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, প্রোডিউসিং, প্রোডাক্ট ডিজাইন, স্ক্রিন রাইটিং প্রভৃতি। ব্রিটেনে ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মিডিয়া, আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন’-এ মেডিক্যাল জার্নালিজম, কনটেমপোরারি মিডিয়া-তে বি. এ. (অনার্স) পড়ানো হয়। এম. এ. করা যায় ফটো জার্নালিজম, মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন পলিসি, মিউজিক বিজনেস ম্যানেজমেন্ট প্রভৃতিতে। স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব স্টার্লিং-এ মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং মিডিয়া রিসার্চ বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করা যায়।

জাপানের কলেজ অব টেকনলজিগুলিতে কী বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে? মেয়াদ কত?
রাজেশ সমাদ্দার, হাওড়া
জাপানের কলেজ অব টেকনলজিগুলিতে পাঠ্য বিষয়গুলি হল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেটিরিয়ালস্ ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার অ্যান্ড সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিটাইম ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। অধিকাংশ কোর্সের মেয়াদ তিন বছরের। তবে মেরিটাইম ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে সময় লাগে সাড়ে চার বছর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.