|
|
|
|
|
|
বিশেষ সুবিধের প্রশ্ন নেই |
রাজসী মুখোপাধ্যায়
সিনিয়র এমপ্লয়ি, কম্পিউটার কনসালটেন্সি, টি সি এস
(মতামত ব্যক্তিগত) |
বিসি এ পড়ে যদি কেউ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতে যায় তা হলে তার ডিগ্রির গুরুত্ব কিন্তু আর পাঁচটা সাধারণ সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট-এর সমতুল্যই ধরা হয়। অর্থাৎ, ফিজিক্স-এ বি এসসি করে যে ছেলেটি চাকরির সি ভি জমা দিচ্ছে, আর বি সি এ করে যে মেয়েটি একই সংস্থায় তার সি ভি জমা দিচ্ছে, তাদের ডিগ্রির গুরুত্ব কিন্তু একই। অর্থাৎ, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন-এ কোর্স করেছে বলে সে যে কোনও বাড়তি সুবিধে পাবে, তা একেবারেই নয়। যদিও এম সি এ করা থাকলে সে কথা আলাদা।
বি সি এ পড়তে হলে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পূর্ণ সময়ের অর্থাৎ তিন বছরের কোর্স করলে তবেই কাজের বাজারে এই ডিগ্রি বিবেচনার যোগ্য বলে ধরা হয়। অনেকে আবার দূরশিক্ষার মাধ্যমে কোর্সটি করে থাকে। এই সূত্রে জানিয়ে রাখি, দূরশিক্ষা বা পার্ট-টাইমে করা বি সি এ ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা আই টি সংস্থাগুলির কাছে কিন্তু একেবারেই নেই বললে চলে।
যে সব ছেলেমেয়ে বি টেক বা এম সি এ পড়েছে তারা সাধারণত ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমেই চাকরি পেয়ে যায়। কিন্তু বি সি এ পড়া ছাত্ররা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সি ভি প্লেসমেন্ট বা ওয়াক-ইন ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে চাকরিতে যোগ দিয়ে থাকে। অভিজ্ঞতার দিক থেকে যে কোনও নিয়োগকর্তাই বি টেক বা এম সি এ করা প্রার্থীর তুলনায় এক জন বি সি এ প্রার্থীর অভিজ্ঞতা কিছু মাস কমিয়েই ধরেন। আর বেতনের কথা ধরলে এক জন সদ্য বি সি এ-কে কাজে যোগ দেওয়ার সময় তাকে যে পে-প্যাকেজ-এর প্রস্তাব দেওয়া হয় তা কোনও বি টেক বা এম সি এ করা প্রার্থীর থেকে আনুমানিক অর্ধেক বা তার কিছু বেশি হতে পারে।
পরিশেষে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এটাই বলতে পারি যে আই টি সংস্থায় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বি সি এ-র চাহিদা বি টেক বা এম সি এ-র তুলনায় অনেকটাই কম। |
|
|
|
|
|
|