দক্ষিণ কলকাতা
কমিউনিটি সেন্টার
নব সাজ
ফুটো টিনের চাল দিয়ে একটু বৃষ্টি হলেই জল পড়ত। দরজা-জানলা ভাঙা ছিল। পর্যাপ্ত আলো ছিল না। ফলে কমিউনিটি হল থাকলেও বেহালার পুষ্পশ্রী আবাসনের বাসিন্দারা তা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করতে পারতেন না। বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৫-তে রাজ্য আবাসন দফতর এই পুষ্পশ্রী আবাসন সেখানকার হাউসিং কোঅপারেটিভ সোসাইটির হাতে তুলে দেয়। এই আবাসনে ১৯২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বাসিন্দাদের অধিকাংশই সরকারি কর্মচারী।
ছবি: পিন্টু মণ্ডল
পুষ্পশ্রী হাউসিং কোঅপারেটিভ সোসাইটির সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি আবাসনের কমিউনিটি সেন্টারটি জীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। সংস্কারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েও সাড়া মিলছিল না। অবশেষে আমরা স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাই। তিনি আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে এটি সংস্কারের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা অনুমোদন করেন।” সেই টাকায় পুষ্পশ্রী হাউসিংয়ের আবাসিক কমিটি তাদের জীর্ণ কমিউনিটি সেন্টারটি নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে। আবাসিক কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, আবসিকেরা তাঁদের যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে এই কমিউনিটি সেন্টার ব্যবহার করতে পারবেন। আবাসনের বাইরের কাউকে এই সেন্টার ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। অনুষ্ঠানের জন্য আবাসিকদের ভাড়া দিতে হবে দিন প্রতি ১২০০ টাকা।
সম্প্রতি নবসাজে সজ্জিত কমিউনিটি সেন্টারটির দ্বারোদঘাটন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিপ্রা ঘটক, আবাসিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি রাজকুমার কোনার প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে পার্থবাবু বলেন, “শুধু কমিউনিট সেন্টারই নয়, আবাসন চত্বরকেও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হোক। সেই পরিকল্পনা সার্থক করে তোলার জন্য আমি বিধায়ক হিসেবে সব সময় এখানকার আবাসিকদের পাশে থাকব।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.