|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর |
পুর-বাজার |
সংস্কারের প্রতীক্ষায় |
দেবাশিস দাস |
রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার বাজারগুলি সংস্কারের পরিকল্পনা এখনও রয়েছে ভাবনাচিন্তার স্তরেই। পাশাপাশি, কিছু এলাকায় রাস্তার পাশে গজিয়ে ওঠা বাজার সরানোর ব্যাপারেও পুরসভা বেশি দূর এগোতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার নিয়ন্ত্রিত বাজারের মধ্যে একটি হল সুভাষগ্রাম বাজার। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারটির ছাদের অবস্থা খুব খারাপ। বাজারের ব্যবসায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, “বোর্ডের ক্ষমতা বদল হওয়ার পরে কিছু কাজ হলেও বাজার ভবনটি সংস্কারের সমস্যা এখনও মেটেনি।” পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের গোপীনাথ দাসের কথায়: “সুভাষগ্রাম বাজারের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। সেপটিক ট্যাঙ্ক, শৌচালয়, সাইকেল স্ট্যান্ড এবং বিদ্যুতের সমস্যা ছিল। এর মধ্যে বিদ্যুৎ, শৌচালয়, সেপটিক ট্যাঙ্কের সমস্যার সমাধান হলেও সাইকেল স্ট্যান্ড ভিতরে নিয়ে আসা এবং বাজার ভবনটির সংস্কারের পরিকল্পনা চলছে।”
|
|
রাজপুর বাজার |
পুরসভা নিয়ন্ত্রিত রাজপুর বাজার নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এটি এলাকার অন্যতম পাইকারি বাজার হলেও দীর্ঘ দিন এর কোনও সংস্কার হয়নি। আবার অনেক জায়গায় রাস্তার উপর বাজার নেমে আসায় রোজ অফিস টাইমে যানজট হয়। ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি বাজার ভবনটির। তবে এই বাজার কমিটির এক সদস্য বলেন, “পুরসভার ক্ষমতা বদলের পরে বাজার নিয়মিত পরিষ্কার হয়।” পাশাপাশি, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দুভূষণ ভট্টাচার্য বলেন, “আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে রাজপুর বাজার। যাঁরা বাইরে বসেছেন তাঁদের বিকল্প ব্যবস্থা করে সরিয়ে নেওয়া হবে।” |
|
|
সুভাষগ্রাম বাজার |
হরিনাভি বাজার |
|
একই অবস্থা হরিনাভির পুর বাজারটিরও। পুরসভার তরফে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার কিষাণ-মজদুর বাজারটি পাকা করার পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘ দিনের। তবে ওই বাজারের ব্যবাসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনও কাজই হয়নি। পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সিপিআইয়ের তড়িৎ চক্রবর্তী বলেন, “বাজারগুলির উন্নয়ন নিয়ে পুরসভার বর্তমান বোর্ডের কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। সদিচ্ছার অভাবেই কাজ এগোয়নি।” পুরসভা সূত্রে খবর, বাজারগুলি থেকে পুরসভার কোনও আর্থিক লাভ হয় না। ফলে বাজারের ছাদগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য আর্থিক সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু পুর বাজারগুলির ছাদ ব্যবহার করে আয় বাড়ানোর কথা পুরসভার পরিকল্পনায় রয়েছে। |
|
এ ছাড়া বালিয়া, কামালগাজি ও মহামায়াতলা মোড়, সোনারপুর স্টেশন রোড, রাজপুরের বাঁশতলা, বৈকুণ্ঠপুর, হরহরিতলা, মালঞ্চপঞ্চবটি, ঘাসিয়াড়া এবং বোড়াল এলাকাতেও রাস্তার পাশে প্রতি দিন বাজার বসে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই সব এলাকার রাস্তা কার্যত বাজরের দখলেই চলে যায়। ফলে চলাচল করতে খুব অসুবিধা হয়। পুরসভা সূত্রে খবর, রাস্তার পাশে গজিয়ে ওঠা এই সব বাজার নিয়ে বেশ কয়েক বার আলোচনা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পরিকল্পনা করে উঠতে পারেনি বর্তমান বোর্ড।
যদিও রাজপুর-সোনারপুরের উপ-পুরপ্রধান এবং সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তৃণমূলের ফিরদৌসি বেগম বলেন, “সমস্যা দীর্ঘ দিনের। তাই কাজ হতে সময় লাগবে।”
|
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
|
|
|
|
|