|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা |
সংস্কারের আশ্বাস |
বেহাল পার্ক |
দীক্ষা ভুঁইয়া |
ঘাস নেই। গাছে দড়ি ঝুলিয়ে জামা-কাপড় শুকনো হচ্ছে। চরে বেড়ায় গরুও। এমনই অবস্থা কলকাতা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাগবাজার পার্কের।
পার্কের দু’টি গেট। একটি গেটের ছোট অংশ খোলা রয়েছে। সেখান দিয়েই অধিকাংশ মানুষ যাতায়াত করছেন। বিকেলের দিকে গেটের সামনে মাছ, শাক-সব্জির বাজার বসে যায়। তখন এদেরকে পাশ কাটিয়েই পার্কের ভিতরে ঢুকতে হয়। প্রবীণ কিছু মানুষের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পার্কটির এই অবস্থা।
পার্কের ভিতরের ঘাস বলতে কিছু নেই। সৌর্ন্দযায়নের জন্য গেটের পর থেকেই সার দিয়ে বড় বড় পাম গাছ বসানো। সেই গাছেই দড়ি ঝুলিয়ে জামা-কাপড় শুকনো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পার্ক সংলগ্ন বস্তির জামা-কাপড় এখানে শুকনো হয়। এমনকী কয়েকটি গরুও পার্কের ভিতরে বাঁধা থাকে।
|
|
পার্কের ভিতরে রয়েছে স্থায়ী মঞ্চ। ২০০২-এ কলকাতা পুরসভার তৎকালীন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তৎকালীন মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) হৃদয়ানন্দ গুপ্ত এই স্থায়ী মঞ্চটি তৈরি করেন। প্রতি বছর এখানেই বাগবাজারের সর্বজনীন দুর্গোৎসব হয়। অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই স্থায়ী মঞ্চের চারপাশে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ গজিয়েছে। মঞ্চের পাশে একটি ফোয়ারাও তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটিও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
কোনও পাহারার ব্যবস্থা নেই। এ দিকে পার্কের পাশেই রয়েছে একটি সুলভ শৌচাগার। অভিযোগ, পথচারীদের একাংশ পার্কের ভিতর ঢুকে মূল গেটের দু’পাশে প্রস্রাব করেন। পার্কের এই অবস্থার কথা স্বীকার করে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের মঞ্জুশ্রী চৌধুরী বলেন, “বেশ কিছু দিন আগে পার্কের ভিতরের পরিবেশ আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ ছিল পার্কের ভিতরে নানা অসামাজিক কাজকর্মও হচ্ছে। তার পরে আমি গেট দু’টি বন্ধ করার নির্দেশ দিই। অনেকে বেড়াতে আসেন বলে গেটের একটি অংশ খুলে রাখা হয় ।”
|
|
পার্কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিয়ে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার (পার্ক ও উদ্যান) বলেন, “ওই পার্কে প্রতি বছর পুজোয় মেলা বসে। তখন খোঁড়াখুঁড়ির জন্য পার্কের মাঠের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তাই মাঠে ঘাস বসিয়ে সৌন্দর্যায়ন করার উপায় নেই। পার্কে উত্তর কলকাতার জন্য স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণ তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। অনেক দিন সংস্কার হয়নি। দ্রুত সংস্কার করা হবে।”
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|