দীর্ঘ ১০ মাস কেটে গিয়েছে। অথচ প্রশাসনের সকল স্তরে বারে বারে আবেদন জানিয়েও প্রাপ্য বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না চোমু শেখ নামে ময়ূরেশ্বর থানার রাধানগর গ্রামের এক প্রৌঢ়। এর ফলে ভিক্ষুক ওই প্রৌঢ় কার্যত অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীব গাঁধী জাতীয় বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে বিপিএল তালিকাভুক্ত ৬০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিরা মাসিক ৪০০ টাকা করে ভাতা পাওয়ার অধিকারী।
|
চোমু শেখ |
সেই মতো ২০০৯ সালে রাধানগর গ্রামের ওই প্রৌঢ়ের নামে ভাতা বরাদ্দ হয়। এমন কী ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পোস্ট অফিসের মাধ্যমে নির্ধারিত হারে ভাতার টাকা পেয়েছেন। কিন্তু তার পর থেকে আর টাকা বরাদ্দ হয়নি। এর ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন চোমু শেখ। স্ত্রী ছাড়া নিজের আর কেউ নেই। নেই সহায় সম্বলও। তার উপরে দু’চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছেন। পেটের তাগিদে স্ত্রীর হাত ধরে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে বেড়াতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, “বিপিএল তালিকায় আমার নাম রয়েছে। তা সত্বেও ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হল কেন জানি না। পঞ্চায়েত ও বিডিও-র কাছে আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি।”
তাঁর স্ত্রী রাবিয়া বিবির ক্ষোভ, “ভাতার টাকাতে কিছুটা হলেও খাওয়ার নিশ্চয়তা ছিল। এখন যে দিন ভিক্ষায় বেরোতে পারি ওই দিন খাবার জোটে।” সংশ্লিষ্ট দাসপলশা পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির প্রতিমা বাগদি বলেন, “তাঁদের ভাতার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”
ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “শুধু তাঁরা নন, ব্লকের ৮০ জনের ভাতা বন্ধ রয়েছে। আসলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে বিপিএল তালিকাভুক্ত নয় কিংবা একই ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের ভাতা পাচ্ছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, “তবে ওই পরিবার যদি বিপিএল তালিকাভুক্ত হন তা হলে ভাতা বন্ধ হওয়ার কথা নয়। কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।” |