বিদ্যুৎ না থাকাটাই প্রধান সমস্যা। কিন্তু কী ভাবে বিদ্যুৎ আসবে ঘরে সেটাই বুঝতে পারছেন না খয়রাশোলের নাকড়াকোন্দা গ্রামের চকপাড়া ও বাঁধেরপাড়(ডাঙা) এই দু’টি পাড়ার বাসিন্দারা। এপিএল ও বিপিএল তালিকাভূক্ত পরিবার মিলিয়ে দু’টি পাড়ায় সাকুল্যে ৬০-৭০টি পরিবার বসবাস করলেও ঠিক কোন পথে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন সেটা নিয়েই দ্বন্দ্বে পরিবারগুলি।
কারণ, ওই গ্রামে রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পে যে সব বিপিএল তালিকাভূক্ত পরিবাবারের বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার কথা সেই তালিকায় নাম নেই ওই পাড়া দু’টির। আবার কিছু কিছু এপিএল তালিকাভূক্ত পরিবার নিয়ম মাফিক বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না যে এই ভেবে, যে পাড়ায় কোনও দিন বিদ্যুৎ আসেনি সেখানে ওই অল্প সংখ্যক পরিবারগুলির জন্য এত এত বিদ্যুতের খুঁটি পুঁতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবে বিদ্যুৎ দফতর।
স্থানীয় বিশ্বনাথ বাউড়ি, গোরা বাউড়ি, কবিতা বাউড়িরা বলেন, “আমাদের কেউ কেউ ২৫০ টাকা করে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু বাড়িতে আলো কবে জ্বলবে জানি না। গ্রামে রাজীব গাঁধী বিদ্যুদয়ন প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রচুর বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছিল প্রায় এক বছর আগে। তখন কিছুটা আশা জেগে ছিল কিন্তু সেগুলি এখনও একই ভাবে পড়ে থাকায় কাজ এগোয়নি। এ ব্যপারে স্থানীয় নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েত ও সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েও ফল হয়নি।”
নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি মণ্ডল বলেন, “আমার পঞ্চায়েত এলাকার তিনটি সংসদ বাদ দিয়ে অন্যান্য সংসদগুলিতে রাজীব গাঁধী বিদ্যুদয়ন প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।” সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত গরমের জন্যই এ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা কাজ শেষ করতে পারেনি। বর্ষা ঢুকেছে। আবার কাজ শুরু হবে। তখন যাতে ওই দু’টি পাড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছয় দেখা হবে।” অন্য দিকে, জেলায় রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক বিশ্বজিৎ বাগদি বলেন, “নাকড়াকোন্দা গ্রামের চকপাড়া ও বাঁধেরপাড়(ডাঙা) এই দু’টি পাড়ার নাম এই প্রকল্পের আওতায় না থাকলেও সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সমীক্ষাও করা হয়েছে।” |