ইউরোর মহা গোল বিতর্কের মধ্যেই ইংল্যান্ডকে আবার ‘টাই ব্রেকারের ভূত’ তাড়া করতে শুরু করে দিল। ‘অভিশপ্ত’ টাই ব্রেকারের ধাক্কায় ইংল্যান্ড কোচ রয় হজসনের পূর্বসূরিরা বহুবার লক্ষ্যচ্যুত হয়েছেন। সেই ববি রবসন, গ্লেন হডল, টেরি ভেনাবেলস কিংবা স্বেন গোরান এরিকসনের দুর্দশার ছবি ভেসে উঠতেই আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে ইংল্যান্ড শিবিরে। রবিবার ইতালির বিরুদ্ধে ইউরোর নক আউট পর্বে খেলতে নামার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে ইংল্যান্ড কোচ বলেছেন, “এর আগে পেনাল্টিতে আমরা দু’টো গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল হেরেছি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। রবিবারের ম্যাচেও যে তেমন কোনও দুর্ঘটনা হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বর্তমানে আমরা যা-ই করি না কেন, অতীতের সঙ্গে তার একটা তুলনা চলেই আসে।”
হজসনের আশঙ্কাকে অবশ্য পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কেননা ইংল্যান্ডের বর্ণময় ফুটবল ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরালে সেই দুর্ভাগ্যের ছবিই ফুটে উঠছে। সে রবসনের ’৯০ বিশ্বকাপ হোক, ভেনাবেলসের ’৯৬ ইউরো কিংবা হডলের ’৯৮ বিশ্বকাপ। আর সে কারণেই হজসন বলেছেন, “আমি এটা মানছি, যা আগে ঘটেছে সেটা এখনও ঘটতে পারে। সম্ভবত ২০ বছর বাদে যিনি ইংল্যান্ড দলের কোচ হবেন, তাঁকেও একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে!”
ব্যক্তিগত প্রতিভার দিকে তাকালে দেখা যাবে, ইংল্যান্ড এখন অনেকটাই ‘অভিশপ্ত’ টাই ব্রেকারের খপ্পর থেকে বেরিয়ে এসেছে। দেশের জার্সিতে না হলেও ক্লাবের জার্সিতে হজসনের দলের বহু ফুটবলার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন পেনাল্টির চ্যালেঞ্জে। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন ওয়েন রুনি কিংবা অ্যাশলে কোল। হজসনকে আরও সাহস জোগাচ্ছেন গোলকিপার জো হার্ট। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-র গোলকিপার বলেছেন, “আমাকে যদি সুযোগ দেওয়া হয়, তা হলে আমিও গোল করবই। এই ব্যাপারে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। আশা করছি টাই ব্রেকার পর্যন্ত ম্যাচ গড়াবে না। তার আগেই আমরা জিতে যাব। যদি যায়, তা হলে আমি তৈরি।” |