ক’দিন আগেও সিজার প্রান্দেলির আজুরি নীল বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের সুযোগ পঞ্চাশ-পঞ্চাশ বলেছিলেন তিনি। আজ কিন্তু পঞ্চাশ-পঞ্চাশের ভবিষ্যদ্বাণী পুরোপুরি পাল্টে ফেলে বলেছেন, “ইতালিকে আমরা ধ্বংস করে ছাড়ব।”
ওয়েন রুনির এই একশো আশি ডিগ্রি অবস্থান পরিবর্তনের পিছনে নাকি আসল কারণ ইংল্যান্ড দলের আত্মবিশ্বাস আর সংহতি। একে-অপরের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন রয় হজসনের ছেলেরা। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই যত এগিয়ে আসছে, ততই আরও আত্মবিশ্বাসী শোনাচ্ছে ওয়েন রুনির গলা। “আমাদের দলটা অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার অনেক বেশি গোছানো। ছেলেরা প্রত্যেকে দলের জন্য সবটুকু নিংড়ে দিতে তৈরি। আসলে এ বারটা একজোট হয়ে কিছু করে দেখানোর একটা বাড়তি তাগিদ রয়েছে আমাদের মধ্যে। আর সে জন্যই এ বার আমাদের দারুণ সুযোগ রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি,” বলেছেন রুনি। |
নিজেদের প্রস্তুতিতে অঢেল আস্থা রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকার। বলেছেন, “আমাদের প্রস্তুতি এতটাই ভাল হয়েছে যে আলাদা একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করছে আমাদের মধ্যে। ইতালি ম্যাচটার জন্য গোটা টিম মুখিয়ে আছে।” ইতালির বিরুদ্ধে জেতার জন্য নিজেদের ক্ষমতায় আস্থা রাখাটা যে সবচেয়ে জরুরি, সেটা রুনি খুব ভাল ভাবে জানেন। প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা যে যথেষ্ট কঠিন প্রতিপক্ষ সেটা মেনে বলেছেন, “আমাদের সামনে কঠিন লড়াই। ইতালির রক্ষণ ভেদ করা মোটেই সহজ নয়। কিন্তু সেটা করার মতো প্লেয়ার আমাদের আছে। নিজেদের ক্ষমতায় বিশ্বাস রেখে এগোতে হবে। দল এ বার দারুণ এককাট্টা। জিতব, এই বিশ্বাসটা নিজেদের উপর রয়েছে।”
ইতালি রক্ষণ ভেদ করার জন্য হজসন সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে থাকবেন রুনির উপরেই। নিজের দায়িত্বটা বুঝছেন ব্রিটিশ তারকা। এবং বলছেন, এখন তিনি আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিণত। তাই ম্যাচ রিডিংটা অনেক বেশি ভাল করতে পারেন। রুনির কথায়, “ক’বছর আগেও ম্যাচের প্রথম কুড়ি মিনিটের মধ্যেই দৌড়োদৌড়ি, লাফালাফি করে সব কিছু করে ফেলার চেষ্টা করতাম। কিন্তু তার পরে বুঝি, একটা ম্যাচকে নিজের ভেতর থেকে অনুভব করতে হয়। মাথা খাটিয়ে ভাবতে হয়। তার পরে ম্যাচের চরিত্র বুঝে কী ভাবে খেলা উচিত, সেটা ঠিক করতে হয়।” ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তাঁর একমাত্র গোলই দলকে গ্রুপে এক নম্বর করেছিল। ওই ম্যাচটা সম্পর্কে বলেছেন, “মাঠের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছিলাম। ম্যাচটা যত গড়ায়, ততই নিজেকে আরও বেশি মজবুত করে মেলে ধরতে পেরেছিলাম। আমার খেলা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছিল। রবিবারও এই ব্যাপারটাই আমাদের সাহায্য করবে।”
লাল কার্ড থাকায় ইউরোর প্রথম দু’টো ম্যাচে খেলতে পারেননি। সেই জ্বালাটাও রয়েছে। এ বার ইতালি ম্যাচে সব পুষিয়ে দিতে চাইছেন তিনি। |