এক বছর আগেও তিনি নির্ধারিত বার্ধক্য ভাতার টাকা পেয়েছেন। কিন্তু বিগত কয়েকমাস থেকে ওই টাকা ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে না। উল্টে প্রশাসনের খাতায় প্রাপককে মৃত বলে দেখানো হয়েছে। বার বার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও তাঁর বার্ধক্য ভাতা শুরু হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন নলহাটি থানার করুমগ্রামের বাসিন্দা বাদল মণ্ডল। বৃহস্পতিবারও বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ও অবিলম্বে ভাতা চালু করার জন্য মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক ভবনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ছিলেন তিনি। কিন্তু মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মেলেনি বলে জানিয়েছেন বাদলবাবু। বাদলবাবু বলেন, “মহকুমাশাসকের কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম। এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করে আমার সমস্যার কথা জানাব বলেই এসেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করেও চলে যেতে হল।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদলবাবু ২০০৮ সাল থেকে বার্ধক্য ভাতার টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে আর কোনও টাকা পাননি। বাদলবাবু বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে জানান। বাদলবাবু জানালেন, ব্লক অফিসে গিয়ে দেখতে পান বার্ধক্য ভাতা প্রাপকদের তালিকায় তাঁকে মৃত বলে দেখানো হয়েছে। এ দিন বাদলবাবুর সঙ্গে এসেছিলেন এলাকার কংগ্রেস নেতা সঞ্জীব সিংহ। তাঁর অভিযোগ, “স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে বলা হয় তালিকা সংশোধন করে পাঠানো হবে। কিন্তু আজও অবধি তা সংশোধিত না হওয়ায় একজন প্রকৃত প্রাপক তাঁর ন্যায্য টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।” সঞ্জীববাবুর দাবি, “ওই তালিকায় এলাকার প্রায় ৭-৮ জন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বলে দেখানো হয়েছে।”
নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কংগ্রেসের মাধবেন্দ্র ঘোষাল বলেন, “এই অভিযোগ জানিয়ে আমার কাছে অনেকেই আবেদন করেছেন। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে দিয়ে সংশোধন করার চেষ্টা চালিয়ে এখনও পর্যন্ত করে উঠতে পারিনি।” যদিও নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস বিশ্বাস তদন্ত করে বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন। অন্য দিকে, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” |