পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধান-সহ পঞ্চায়েতকর্মীদের ৫ ঘণ্টারও বেশি তালাবন্দি করে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজার ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের ঘটনা। পরে ওই প্রধান অভিযোগ ‘স্বীকার’ করে মুচলেকা দিলে তাঁদের ছাড়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
সিপিএম পরিচালিত ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের নানা প্রকল্পে গাফিলতি ও দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগে ওই বাসিন্দারা এ দিন সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত তালাবন্দি করে রাখেন প্রধান, সিপিএমের সুনীতি সাহা-সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত কর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, ১০০ দিন প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি হয়েছে। টেন্ডার না ডেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার কাজ করানো হয়েছে। এমন কী ভাঁড়কাটা গ্রামের একটি দাগে পুকুর সংস্কার বাবদ ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা দেখানো হলেও বাস্তবে ওই দাগে কোনও পুকুর নেই বলেই তাঁদের অভিযোগ। বারবার অভিযোগ করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বাসিন্দাদের দাবি। অভিযুক্ত প্রধান তাঁদের নিয়ম মেনে সব কিছু ঠিক করা হবে ওই মর্মে একটি মুচলেকা দিয়েছেন বলে ওই বাসিন্দাদের দাবি। সেই মুচলেকার ভিত্তিতেই এ দিনের বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জিতেন ভট্টাচার্য বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ওই প্রধানকে দীর্ঘ ক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল বলে শুনেছি।” যুগ্ম বিডিও দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “ঘেরাও কথা জেনেছি। তবে এখনও কেউ সরকারি ভাবে আমাকে কেউ কিছু জানাননি।” এ দিকে অভিযুক্ত প্রধান সুনীতিদেবী বলেন, “লিখিত জানিয়েছি। শুধু এটুকু বলব ওঁদের দাবিগুলি মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |