একশো দিন প্রকল্পে রামপুরহাটের কাষ্ঠগড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে একটি পুকুরে মাটি কাটতে উঠে এল কঙ্কাল। উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল কাষ্ঠগড়া পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রাক্তন প্রধান, সিপিএমের পশুপতি বাগদি-র নিখোঁজ ছেলে সুবোধ বাগদি-র বলে দাবি তাঁর পরিবারের। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “কঙ্কাল পরীক্ষা করে তদন্ত করা হবে।”
এ দিন সকালে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া বড় কাঁঠালকুড়ি পুকুরের মাটি কাটা হচ্ছিল। শ্রমিক বাদলচন্দ্র বাগদি বলেন, “পুকুরের উত্তরদিকে আমি আর আমার সঙ্গী শ্যামল সর্দার মাটি কাটছিলাম। পর পর কোদালের কোপ পড়তেই কঙ্কালটি উঠে আসে।” কাষ্ঠগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূলের তপনকুমার মণ্ডল বলেন, “খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে পশুপতিবাবুর পরিবার ওই কঙ্কালের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া জামাকাপড় দেখে কঙ্কালটি পশুপতিবাবুর নিখোঁজ পুত্র সুবোধ বাগদি-র বলে দাবি করেছেন।” পশুপতিবাবুর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সাড়ে বারো বছর আগে গ্রাম থেকেই হারিয়ে গিয়েছিলেন সুবোধবাবু। থানায় তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়রিও করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এক বছর আগেই মারা গিয়েছেন কাষ্ঠগড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান পশুপতি বাগদি। তাঁর বড় ছেলে পূর্ণচন্দ্র বাগদি বলেন, “১৪০৬ সালের ১৩ অগ্রহায়ণ রাতে আমার ভাই সুবোধ বাগদি নিখোঁজ হয়েছিল। নিখোঁজ হওয়ার সময় ভাইয়ের পরণে যে জামাকাপড় ছিল, এ দিন উদ্ধার হওয়া কঙ্কালের সঙ্গে থাকা জামাকাপড়গুলির মিল রয়েছে। তা দেখেই বুঝতে পারি কঙ্কালটি আমার হারিয়ে যাওয়া ভাইয়ের।” তাঁর মা শান্তিদেবী বলেন, “সেদিন ছেলের অনেক রাতে ভিডিও দেখে বাড়ি ফিরেছিল। আমি তাই বকাবকি করি। সকালে উঠে দেখি ছেলে ঘরে নেই।” তারপর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি সুবোধবাবুর। |