মা-শিশুর মৃত্যু, বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে প্রসূতি ও তাঁর সদ্যোজাত পুত্রের মৃত্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বর। রবিবার বিকেলে ওই ঘটনার পর মৃতার পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সদের শাস্তির দাবিতে বিকেল ৫টা থেকে আড়াই ঘণ্টা প্রসূতি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতাল সুপার সেখানে গেলে মৃতার পরিবারের লোক তাঁকে জরুরি বিভাগে ঢুকিয়ে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। বিক্ষোভের জেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ও জরুরি বিভাগের দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। সাড়ে ৭টা নাগাদ সুপার বিক্ষোভকারীদের অভিযোগের তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “দীর্ঘক্ষণ বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখায় ওই প্রসূতি ও তাঁর সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্স দোষী প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মৃতার নাম সাহানাজ খাতুন (১৯)। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার ধনতোর এলাকায়। সকাল ১০টা নাগাদ বাড়িতে সাহানাজের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। পরিবারের লোক তাঁকে হেমতাবাদ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর চিকিৎসকেরা সাহানাজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সাহানাজকে পুত্র সন্তান প্রসব করেন। বিকেল ৫টা নাগাদ দু’জনেরই মৃত্যু হয়। মৃতার মা সাইফুন নিহার অভিযোগ করেছেন, “চার ঘণ্টা ফেলে রাখার জন্য আমার মেয়ে ও তার সদ্যোজাত পুত্রের মৃত্যু হল।” |
স্বাস্থ্যশিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
নিউ জলধা মৎস্যখটিতে শনিবার মৎস্যজীবীদের জন্য স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করেছিল রামনগর থানার পুলিশ। ওসি সুদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, পাঁচশোরও বেশি মৎস্যজীবীর চিকিৎসা ছাড়াও শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য সচেতনতা নিয়ে এক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন কাঁথি পুলিশের সিআই সমীর বসাক, ওসি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্দারমনি সি-কোস্ট হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবদুলাল দাস মহাপাত্র ও লক্ষী নারায়ণ জানা। |