|
|
|
|
বধূকে ‘পাচারে’র চেষ্টা, ধৃত তিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
কাজের লোভ দেখিয়ে এক বধূকে আটকে রেখে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে এক দম্পতি-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার পুলিশ। ধৃতেরা হলেন বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার সমুদ্রগড়ের ভরত মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী শীলাদেবী, নদিয়ার হরিণঘাটা থানার কাষ্ঠডাঙা গ্রামের শ্যামলী বৈরাগী। রবিবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তিনদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “পুর্বস্থলী থানার সমুদ্রগড়ের এক বধূকে কাজের লোভ দেখিয়ে জোর করে আটকে রাখা ও পাচারের চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে পাচার চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ জুন সমুদ্রগড়ের বাসিন্দা সরস্বতী মিস্ত্রি নামে ওই বধূকে কাজের লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে ভরত মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী শীলাদেবী নিয়ে যান। সরস্বতীদেবীর স্বামী সুশীলবাবুর দাবি, “আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। সেই সুযোগ নিয়ে ভরত ও তার স্ত্রী শীলা অন্যত্র কাজের লোভ দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়। দিনদুয়েক পরে স্ত্রীর খোঁজ করলে ওরা আমাকে কিছু জানাতে অস্বীকার করে।” তাঁর অভিযোগ, “অন্যত্র পাচারের জন্যই আমার স্ত্রীকে জোর করে ওরা আটকে রেখেছিল। সুযোগ বুঝে তাকে বিক্রি করে দেওয়ার ফন্দি এঁটেছিল ওরা।” তিনি জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম শীলাদেবীর বাপেরবাড়ি পাত্রসায়রের পাঁচপাড়ায় তাঁর স্ত্রীকে রাখা হয়েছে। এর পরে তিনি শনিবার পাত্রসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাঁচপাড়ায় শীলাদেবীর বাপেরবাড়িতে অচেনা দুই মহিলা রয়েছে বলে খবর পেয়ে পাত্রসায়র থানার ওসি মানবেন্দ্রনাথ পাল শনিবার দুপুরে সেখানে হানা হিয়ে ওই বধূকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্ত দম্পতি ও তাঁদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় শ্যামলী বৈরাগীকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের দাবি, সরস্বতীদেবী জানিয়েছেন, তাঁকে প্রথমে কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে আসা হলেও কোনও কাজ দেওয়া হয়নি। পাঁচপাড়ায় তাঁকে ১০ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি বাড়ি ফিরতে চাইলেও ধৃতেরা বাধা দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। |
|
|
|
|
|