চিনা সংস্থার লক্ষ্য এ বার ভারতে গাড়ি সরঞ্জামের বাজার |
খেলনা বা মোবাইলের বাজার তো ছিলই, এ বার ভারতে গাড়ি সরঞ্জামের বাজার ধরতেও ঝাঁপাচ্ছে চিনা সংস্থা। এই লক্ষ্য পূরণেই ছোট গাড়িতে ব্যবহারযোগ্য মাল্টিমিডিয়া বা জিপিএসের মতো সরঞ্জাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে চিনের সংস্থা কোজেন্ট ইলেকট্রনিক্স। এখন শুধুমাত্র দামি গাড়ির জন্য কোজেন্টের তৈরি কাসকা ব্র্যান্ডের সরঞ্জাম কলকাতার বাজারে আমদানি করে স্থানীয় সংস্থা অটো ট্রেন্ডজ। কিন্তু ভবিষ্যতে সব ধরনের গাড়ির জন্যই তা আনতে আগ্রহী কোজেন্ট। সেই কারণে অটো ট্রেন্ডজ-এর সঙ্গে মিলে ভারতে গবেষণা কেন্দ্র গড়বে এই চিনা সংস্থা। সম্প্রতি কলকাতায় কোজেন্ট কর্তা কাইসের-এর দাবি, দেশে ভারতে বড় গাড়ির চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে, চাহিদা এখনও বেশি ছোট গাড়ির। সে কারণেই ভবিষ্যতে ছোট গাড়ির উপযোগী সরঞ্জামও তৈরি করতে চান তাঁরা। কী ধরনের সরঞ্জাম ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে উপযোগী হবে, তা বুঝতে ভারতে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা কেন্দ্রটি গড়া হবে বলে জানান অটো-ট্রেন্ডজ কর্তা নীরজ বাঙ্কা। বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইতে গড়ে উঠবে এই কেন্দ্র। লগ্নি প্রায় ১০০ কোটি টাকা। তবে সরঞ্জাম তৈরি হবে চিনের কারখানাতেই।
|
বিদেশে ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী টাইড ওয়াটার |
গত বছর বহুজাতিক সংস্থা বিপি-র কাছ থেকে ‘ভিডল’ ব্র্যান্ডটি কিনে নিয়েছিল টাইড ওয়াটার অয়েল। এ বার ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায় ভিডলের ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যান্ড্রু ইয়ুল গোষ্ঠীর সংস্থা টাইড ওয়াটার অয়েল।
অ্যান্ড্রু ইয়ুলের সিএমডি কল্লোল দত্ত ও টাইড ওয়াটার অয়েলের এমডি আর কে ঘোষাল সম্প্রতি সংস্থার বার্ষিক ফল প্রকাশের পরে জানান, চুক্তি অনুযায়ী, ১২০টি দেশে ভিডলের ব্যবসা করার অনুমোদন তাঁদের রয়েছে। আপাতত ইউরোপের জার্মানি এবং পশ্চিম এশিয়ার দুবাইয়ে পণ্যটির বিপণনে জোর দিচ্ছে সংস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, কলম্বিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রাথমিক ভাবে তাদের নজরে রয়েছে। ভারতে জাপানের জেএক্স নিপ্পন অয়েলের সঙ্গেও ব্যবসায়িক সমঝোতা রয়েছে টাইড ওয়াটার ইন্ডিয়া-র। জাপানি সংস্থাটি ভারতে ব্যবসা বাড়াতে আগ্রহী। এ নিয়ে দুই সংস্থার মধ্যে কথা চলছে। ২০১১-’১২-এ সংস্থার আয় বেড়ে হয়েছে ১০০৪.৪৭ কোটি টাকা। মুনাফা অবশ্য আগের বছরের চেয়ে কমে ৮৬.১৯ কোটি টাকা। সংস্থার দাবি, ডলারে টাকার পতন ও লগ্নির খরচ বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা কমছে। কর্তারা জানান, সাধারণ ভাবে ৮০০% ডিভিডেন্ড দেওয়ার পরেও ‘ভাল’ আর্থিক ফলের জন্য আরও ৪০০% ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে।
|
বিভিন্ন বণিকসভা ইতিমধ্যেই সুদ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছে। যেমন, সিআইআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান থেকে শিল্পমহলের এই ধারণাই হয়েছে যে, সুদ কমানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। অ্যাসোচ্যাম সভাপতি রাজকুমার এন ধুত-ও এ বারের ঋণনীতিতে আর বি আইকে সাহসী হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রায় থমকে শিল্প বৃদ্ধি। সঙ্কুচিত হয়েছে রফতানি। অর্থনীতিকে এই ফাঁদ থেকে বার করে আনতে সুদ কমানোর এটাই সঠিক সময়। |