|
|
|
|
নানা সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ১২,৭০০ কোটি |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সুইজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কগুলিতে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বাড়ছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (এসএনবি) জানিয়েছে, সেখানকার ব্যাঙ্কগুলিতে ভারতীয়দের টাকার পরিমাণ ২০১১-এর শেষে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২,৭০০ কোটি টাকা। ২০০৬-এর পরে ২০১১-তেই প্রথম তা বাড়ল। সব মিলিয়ে অর্থের হিসেবে, সেই তালিকায় ভরতের স্থান ৫৫তম।
তবে এর মধ্যে কালো টাকার হিসেবের ইঙ্গিত দেয়নি সুইজারল্যান্ডের প্রধান ব্যাঙ্কটি। এসএনবি জানিয়েছে, ওই অর্থ বিভিন্ন দেশের গ্রাহকদের প্রতি সুইস ব্যাঙ্কগুলির ‘দায়’। পাশাপাশি বেনামে কেউ টাকা রেখেছে কি না স্পষ্ট নয় তাও। কারণ সেই হিসেব এ ক্ষেত্রে ধরেনি এসএনবি। সার্বিক ভাবে সুইস ব্যাঙ্কগুলিতে মোট যে অর্থ গচ্ছিত রয়েছে, তার মধ্যে এসএনবি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতীয়দের অর্থের পরিমাণ মাত্র ০.১৪%। ব্যাঙ্কগুলিতে বিভিন্ন দেশের মোট ৯০ লক্ষ কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি অর্থ এসেছে ব্রিটেন থেকে, ২০ শতাংশের বেশি। এরপরই রয়েছে মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্র, প্রায় ১৮%। এসএনবি-র তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তি হিসেবে ভারতীয়দের ‘সরাসরি’ গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১,৮০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কিছু ‘ফান্ড ম্যানেজার’ সংস্থাও এক জন ভারতীয় বা ভারতীয় পরিবারের হয়ে সেখানে টাকা রাখে। সেই হিসেবে ভারত ৭৬ তম স্থানে থাকলেও পাকিস্তান অনেক এগিয়ে, ৫২ তম স্থানে।
উল্লেখ্য, কালো টাকা নিয়ে গত মাসেই সংসদে শ্বেতপত্র কেন্দ্র পেশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতীয়দের প্রতি সুইস ব্যাঙ্কগুলির দায় ২০০৬ থেকে ২০১০-এর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা কমেছে। সুইজারল্যান্ড-সহ অন্যান্য দেশে ভারতীয়দের বেনামি অর্থ দেশে ফেরাতে সচেষ্ট হচ্ছে কেন্দ্র।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত দুটি কারণে টাকা রাখার নিরাপদ স্থান হিসেবে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে সুইজারল্যান্ড। প্রথমত, উৎস অজ্ঞাত রাখার প্রচলনের জন্যই সুইস ব্যাঙ্কগুলি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু কালো টাকা নিয়ে সম্প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট দেশের কাছে প্রকাশ করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলও সুইজারল্যান্ডের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। ফলে মরিশাস, দুবাইয়ের মতো দেশে পাড়ি দিচ্ছে সুইজারল্যান্ডে জমা বেনামি ও কালো টাকার একাংশ। দ্বিতীয়ত, যাঁরা ‘বৈধ’ পথেই সেখানে টাকা রাখতেন, এই নেতিবাচক পরিবেশ থেকে বাঁচতে তাঁরাও অন্য দেশে টাকা রাখতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন। তাই সুইজারল্যান্ড ছেড়ে অর্থ পাড়ি দিচ্ছে অন্যত্র। |
|
|
|
|
|