নলহাটির কয়থা গ্রামের বাসিন্দা জটু ভাণ্ডারী প্রথমে ছিলেন প্রাচীন লোকসংস্কৃতির ‘আলকাপ’ শিল্পী। সেখান থেকে ‘পঞ্চরস’ ও ‘যাত্রা’ শিল্পীতে রূপান্তরিত হন। পরে সব ছেড়ে সেলুন করেন। তখনই গান শেখার ইচ্ছা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। গ্রামেরই পটল ভুঁইমালির কাছে দু’বছর হারমোনিয়ামে সরগম প্র্যাক্টিস করেন। ইতিমধ্যে পটলবাবু প্রয়াত হন। কিন্তু জটুবাবু তাঁর গুরুর কাছে শেখা বিদ্যে নিয়ে স্বরলিপি দেখে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি রপ্ত করেন। ৭১ বছর বয়সী জটুবাবু এখন সঙ্গীত নিয়েই বেঁচে আছেন। আশপাশের ১০-১২টি গ্রামে গিয়ে সঙ্গীতের টিউশনি করেন প্রায় দশ বছর ধরে। শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে তালিম দিয়েছেন ও দিচ্ছেন। এলাকার অনেক অভিভাবকের কথায়, “গ্রামের বহু ছেলেমেয়ে গান শিখতে চায়, কিন্তু শিক্ষক বা প্রশিক্ষক পাওয়া যায় না। জটুবাবু সেই অভাব পূর্ণ করেছেন।”
|
‘সময় থাকতে তীর ধর মন
দাখিল হইয়া তরী কায়...’।
এই রকম বহু ফকিরি গান যখন দরাজ গলায় গেয়ে ওঠেন লালু ফকির, তখন পথ চলতি মানুষ দাঁড়িয়ে যান। মন্ত্র মুগ্ধের মতো শোনেন। লালু ফকিরের বাড়ি শ্রীনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামে। আগে বাউল গান গাইতেন। দীর্ঘ ষোলো বছর ধরে ফকিরি গান করছেন। নিজের একটি দলও খুলেছেন। ফকিরি গানের নাড়া বেঁধেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত ফকিরি শিল্পী ও সাধক প্রয়াত লাউনিয়া-র কাছে। টানা আট বছর গুরুর সঙ্গে ঘুরে ফকিরি গান রপ্ত করেছেন। এই রাজ্যে তথা জেলায় বাউলের সংখ্যা প্রচুর। তুলনায় ফকিরি শিল্পী খুবই কম। ফলে ফকিরি গানের কদর রয়েছে। প্রতি বছরই গান করেন কলকাতার যাদবপুরের বিখ্যাত ‘বাউল ফকির উৎসবে’। লালু চন্দননগরে চারবার অনুষ্ঠান করেছেন। এ ছাড়াও গুয়াহাটি, অসম, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি জায়গায় অনুষ্ঠান করে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন।
|
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সম্প্রতি সাঁইথিয়া রবীন্দ্রভবনে দু’টি ছোট মাপের নাটক পরিবেশিত হয়। ‘প্রকৃতির কান্না’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে সাঁইথিয়া পুরকর্মীদের নাট্য সংস্থা। সাঁইথিয়ার ‘রূপ তাপস’ নাট্যসংস্থা মঞ্চস্থ করেছে ‘গাছ দাদু’ নাটক। |
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
ছবি: সব্যসাচী ইসলাম, বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী ও নিজস্ব চিত্র। |