|
|
|
|
অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিগ্রহের নালিশ, দাঁতনে সিপিএম প্রধানের ইস্তফা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
তৃণমূলের বিরুদ্ধে শারীরিক-মানসিক নিগ্রহ ও হুমকির অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন সিপিএমের এক পঞ্চায়েত প্রধান। সোমবার বিডিওকে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন দাঁতনের আলিকষা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফণীন্দ্রনাথ দে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, দুর্নীতি ও অপদার্থতা থেকে মুখ লুকোতেই ইস্তফা দিয়েছেন প্রধান। বিডিও জ্যোতি ঘোষ বলেন, “এ ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
দাঁতন-১ ব্লকের আলিকষা বরাবরই সিপিএমের শক্ত-ঘাঁটি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৩ আসনের আলিকষা পঞ্চায়েতে ৭টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসে সিপিএম। সিপিআই ২, তৃণমূল ৩ এবং বিজেপি ১টি আসনে জেতে। রাজ্যে পালাবদলের পর এলাকায় তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি হয়। পঞ্চায়েত প্রধান তথা সিপিএমের রাজনগর লোকাল কমিটির সদস্য ফণীন্দ্রবাবুর অভিযোগ, গত এক বছর ধরে পঞ্চায়েতকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য করছে তৃণমূল। জোর করে পঞ্চায়েত দখলের চেষ্টাও করে। তাঁর কথায়, “ডেপুটেশন দেওয়ার নামে গত ৩০ মে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উমাকান্ত বাড়ি ও ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি প্রতুল দাসের নেতৃত্ব দলীয় সমর্থকেরা পঞ্চায়েতে চড়াও হয়। আমাকে মারধর করা হয়। পরদিন আমার বাড়িতে ভাঙচুরেরও চেষ্টা করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিজনেরা।” নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় ৭ জুন বিডিওকে লিখিত ভাবে সব জানান। ফণীন্দ্রবাবু বলেন, “বিডিও কোনও আশ্বাস না দেওয়ায় আর ভরসা পাইনি। দলের আপত্তি সত্ত্বেও নিজের ও পরিবারের কথা ভেবে ইস্তফা দিয়েছি।”
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিডিও-র বক্তব্য, “অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলা হয়েছে। পুলিশকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে নিরাপত্তার আর কীই বা ব্যবস্থা করা যাবে!” পুলিশের বক্তব্য, লিখিত অভিযোগ না পেলে কিছু করার নেই। পুলিশে জানালে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন ফণীন্দ্রবাবু। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধান বলেন, “একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণ, নানা দুর্নীতি করেছেন ওই প্রধান। আমরা প্রশাসনে অভিযোগও জানিয়েছি। সে সব আড়াল করতেই ইস্তফা দিয়ে নাটক করছেন উনি।” |
|
|
|
|
|