পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস জোটে থাকবে কি না, তা প্রদেশ নেতৃত্বই ঠিক করবেন বলে জানিয়ে দিলেন দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য প্রণব মুখোপাধ্যায়। শনিবার প্রণববাবু কলকাতায় বলেন, “পঞ্চায়েতে কংগ্রেস একা চলবে কি না, তা প্রদেশ কংগ্রেস ঠিক করবে।”
ছ’টি পুরসভার ভোটের ফল প্রকাশের পরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় জানান, আগামী দিনেও তাঁরা একক ভাবে লড়ে জিতবেন। মুকুলের কথার প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেসও পাল্টা ‘একলা চলা’র হুঁশিয়ারি দেয়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস অবশ্য পঞ্চায়েতে ‘একলা চলা’র কথা আগেই ঘোষণা করেছে। এ বার প্রণববাবুর ‘সম্মতি’ পেয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে চান প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
তবে রাষ্ট্রপতি ভোটের আগে শরিক তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি বিরোধিতায় যেতে দলকে নিষেধ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী এবং ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী। ফলে শরিকি সম্পর্ক ‘অক্ষুণ্ণ’ রেখেই নিজেদের ‘অস্তিত্ব’ প্রতিষ্ঠায় এগোতে চায় রাজ্য কংগ্রেস। সাম্প্রতিক পুরভোটে জোট হয়নি। ফলের নিরিখেও তৃণমূলের থেকে অনেক পিছিয়ে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতেও তাঁরা পঞ্চায়েতে স্থানীয় নেতৃত্বকেই যে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব দিতে চান, তার ইঙ্গিত দিয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “গত পঞ্চায়েত ভোটে জোট চাননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও অনেক জায়গায় ব্লক স্তরে জোট হয়েছিল। আগামী পঞ্চায়েতে জোট হবে কি না, তা ঠিক হবে স্থানীয় স্তরেই।” মান্নানের ব্যাখ্যা, পুরভোট বা পঞ্চায়েতে স্থানীয় বাধ্যবাধকতার জেরে এমন কিছু সমঝোতা বা সমীকরণ তৈরি হয়, যেখানে উপরমহলের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া কার্যত অসম্ভব। প্রদীপবাবুও জানান, পঞ্চায়েতে স্থানীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই প্রদেশ কংগ্রেস সমর্থন করবে।
দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় কর্মিসভা ও পঞ্চায়েত সম্মেলন করছে কংগ্রেস। আজ, রবিবার হুগলির আরামবাগে (তৃণমূল শাসিত) পঞ্চায়েত সম্মেলনে প্রদীপ-মান্নান ছাড়াও এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ কর্মীদের পঞ্চায়েত-প্রস্তুতির ‘বার্তা’ দেবেন। |