নরেন্দ্র মোদী বনাম সঞ্জয় জোশী বিরোধে জোশীর পাশে দাঁড়িয়ে নাম না করে মোদীকে ‘বার্তা’ দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
মোদীর চাপেই শুক্রবার বিজেপি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন জোশী। সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া শনিবার কলকাতায় বলেন, “সঞ্জয় জোশীকে আমি ৩০ বছর ধরে চিনি। উনি খুবই ভাল মানুষ। শুধু তা-ই নয়, গুজরাতে বিজেপি-কে সরকারে আনার এবং রাখার পিছনে ওঁর অনেক ঘাম-রক্ত ঝরানো প্রয়াস রয়েছে।” পাশাপাশিই প্রবীণের বক্তব্য, “সকলের আগে দেশ। দেশের জন্য দল এবং দলের জন্য কর্মী। কোনও ব্যক্তি নিজেকে দল বা দেশের ঊর্ধ্বে ভাবলে তা ঠিক নয়।” জোশী এমনিতেই বরাবর সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ নেতা। তাঁকে বিজেপি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করার বিষয়টি যে হিন্দু নেতারা ভাল চোখে দেখছেন না, প্রবীণের এ দিনের কথা থেকেই তা স্পষ্ট। জোশী বিজেপি-তে অনেক দিন ধরেই মোদীর বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন। সে কারণেই জোশীকে দলের কর্মসমিতি থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে সর্বভারতীয় সভাপতি নিতিন গডকড়ীর উপরে চাপ সৃষ্টি করছিলেন মোদী। নিজের নেতৃত্ব ধরে রাখতে, বিশেষত সভাপতিত্বের মেয়াদ বৃদ্ধিতে মোদীর সমর্থন পেতে গডকড়ী তাঁর ওই দাবি মেনেও নেন। কিন্তু এর পরে সঙ্ঘের চাপে জোশীকে উত্তরপ্রদেশের পুরভোটের দায়িত্ব দেন গডকড়ী। তাতে মোদী ফের ক্ষুব্ধ হন। শেষ পর্যন্ত তাঁর চাপে গডকড়ী জোশীকে দল থেকেই ইস্তফা দিতে বাধ্য করলেন বলে বিজেপি-র একাংশের ব্যাখ্যা। দলীয় নেতৃত্ব প্রকাশ্যে অবশ্য বলছেন, গডকড়ী জোশীকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেননি। জোশী নিজেই অব্যাহতি চেয়েছিলেন। গডকড়ী তা মেনে নিয়েছেন মাত্র। |