|
|
|
|
|
রায়গঞ্জে রক্তসঙ্কট
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
|
গরম বাড়তেই গত এক সপ্তাহ ধরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই রক্তের অভাবে বিপাকে পড়ছেন রোগীর পরিবারের লোকজনেরা। ব্লাড ব্যাঙ্কের তরফে রোগীর পরিবারের লোকজনকে রক্তদাতা জোগাড় করে আনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেকে নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্তদাতা না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। পাশাপাশি, রক্তের সঙ্কটের জেরে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের কাজও ব্যহত হচ্ছে। রক্ত সঙ্কটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতাল চত্বরে একশ্রেণির দালাল সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসার প্রদীপ মন্ডল বলেন, “গরমের জেরে রাজনৈতিক দলের রক্তদান শিবির বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে রক্তের সঙ্কট হয়েছে। রোগীদের রক্ত সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রোগীর পরিবারের লোকজন দাতা জোগাড় করে আনলেই রক্ত সরবরাহ করা হচ্ছে। সমস্ত বিষয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছি।” মঙ্গলবার রায়গঞ্জের কলেজ পাড়ায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের হাতে ২০ ইউনিট রক্ত তুলে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটি। সংগঠনের জেলা পর্যবেক্ষক প্রিয়ব্রত দুবে বলেন, “রক্তের অভাব মেটাতে টানা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, প্রতি মাসে গড়ে যেখানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০টিরও বেশি রক্তদান শিবির হয়, সেখানে গত দু’মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগেই জেলার ইটাহার ও কালিয়াগঞ্জে মাত্র দুটি শিবির হয়েছে। দুটি শিবির থেকে ৭৬ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হয়েছে। সেই কারণেই রক্তের সঙ্কট তীব্র আকার নিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ, বি, ও এবং এবি নেগেটিভ ও পজিটিভ গ্রুপ মিলিয়ে প্রতিদিন ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে ৩৫ ইউনিট রক্ত সরবরাহ করা হয়। এদিন ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত নিতে গিয়েছিলেন রসাখোয়া এলাকার বাসিন্দা গোলাম ইয়াজদানি। তিনি বলেন, “বোন পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে সোমবার থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানান তাকে দুই ইউনিট ‘ও পজিটিভ’ রক্ত দিতে হবে। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই। কয়েকজন আত্মীয় ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দেন। তা-ই দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|