স্থায়ী আমানত করে প্রতারিত হয়ে আত্মঘাতীর দেহ নিয়ে ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বাড়ির লোক ও পড়শিরা। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থানার জলপাইমোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে জনতাকে শান্ত করে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বাবু মণ্ডল (৩৬)। সোমবার শক্তিগড়ের শীতলাপল্লিতে বাড়ির শোওয়ার ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার হয়। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। মৃতের স্ত্রী দেবিকা মণ্ডলের অভিযোগ, “স্বামীর প্রায় ১০ লক্ষ টাকার স্থায়ী আমানত ছিল ইউকো ব্যাঙ্কের বর্ধমান রোড শাখায়। সম্প্রতি ব্যাঙ্কে কয়েকজন কর্মী কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত হয়। ১ লক্ষ টাকা স্থায়ী আমানত ঠিক ছিল। বাকি সব টাকা মার গিয়েছে। উনি তার পর থেকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ওই প্রতারকদের জন্যই স্বামীকে হারাতে হল।” ঘটনার পর বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা দোষী ব্যাঙ্ক কর্মীদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হন। বাবু মণ্ডল শিলিগুড়ি একটি বড়মাপের সোনার দোকানের কর্মী ছিলেন। শীতলাপাড়ায় মা, স্ত্রী এবং ছোট ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। সোনার দোকানে কাজের সুবাদে তিনি টাকা জমানো শুরু করেন। নানা সময়ে ছোট ছোট করে তিনি স্থায়ী আমানত ব্যাঙ্কে জমা করেন। পরবর্তীতে জানতে পারেন মাত্র ১ লক্ষ টাকার একটি স্থায়ী আমানত ঠিকঠাক করা হয়েছে। বাকিগুলি সবই জাল। অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মীরা তাঁকে বাকিগুলি জাল সাটির্ফিকেট দেন। পুরসভার ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৌশিক দত্ত বলেন, “ব্যাঙ্কে প্রতারণার খবর পেয়েই বাবু আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা ওঁকে নিয়ে ব্যাঙ্কে যাই। ১০ লক্ষ টাকার স্থায়ী আমানতের মধ্যে ওঁর ১ লক্ষ টাকা ঠিকঠাক ছিল। বাকি সব জাল। বাবু ভেঙে পড়ে। পুলিশকে সব জানায়। এই বহু মানুষ এই ভাবে ওই ব্যাঙ্ক কর্মীদের হাতে প্রতারিত হয়েছেন। আমরা চাই দ্রুত অভিযুক্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের শাস্তির ব্যবস্থা হোক।” |