অন্য এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় স্বামী নির্যাতন চালাচ্ছেন। স্ত্রী’র এই অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল তাঁর স্বামীকে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তরুণী-সহ তাঁর পরিবারের পাঁচ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, রঘুনাথপুর থানার বামড়রা গ্রামের ঘটনা। বধূটির তাঁর স্বামী বাবুল আলমকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়। সে দিনই বাকি পাঁচ জনকেও ধরা হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। বাবুল আলম এলাকায় এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। তবে এই ঘটনার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে বাবুলের সঙ্গে ওই তরুণীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে গ্রামেরই কিছু বাসিন্দা তাঁদের আটক করে থানায় খবর দেন। বধূটিও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে ওই তরুণীর দীর্ঘ সময় ধরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবাদ করলে উল্টে স্বামীর নির্যাতন ও তরুণীর পরিবারের লোকেদের কাছে খুন করার হুমকি শুনতে হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে জোর করে গর্ভপাত করানো, বধূ নির্যাতন ও অবৈধ সম্পর্ক রাখার অভিযোগে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ধযতদের দাবি, “তাঁদের মিথ্যা অভিয়োগে ফাঁসানো হয়েছে।”
|
পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় চার অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে আদ্রা স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্লাটফর্মের মেঝেতে প্রায় ৩৫ বছরের এক ব্যক্তির দেহ মেলে। রেল পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। এ দিন দুপুরে পাড়া থানার আনাড়া গ্রামের কাছে রামপুর যাওয়ার রাস্তার পাশে এক অজ্ঞাত পরিচয় প্রৌঢ়ের দেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। সোমবার বিকেলে পাড়া থানার দুবড়া-রুকনি রাস্তায় কাশীবেড়া গ্রামের কাছে জঙ্গলে বছর পঁচিশের এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীকে খুন করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেদিন বিকেলেই পাড়া থানা এলাকায় রুকনি রেল স্টেশনের অদূরে রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের দেহ মেলে।
|
স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থেকে লোহাচুরি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ১১ জনকে। ঘটনাটি সাঁতুড়ির মধুকুণ্ডার। পুলিশের দাবি, সোমবার রাতে মধুকুণ্ডার একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থেকে লোহাচুরি করার সময় হাতে নাতে ধরা হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে মেজিয়া থানার শেখ নূর আলম, সাঁতুড়ি থানার মুরুলিয়া গ্রামের শেখ খালেদ ও নিতুড়িয়ার গোড়াবাড়ি গ্রামের শেখ আফজলকে তিন দিন পুলিশ হেফাজত হয়। বাকি ৮ জনের ১৪ দিন জেলহাজত হয়। প্রসঙ্গত, মধুকুণ্ডায় বন্ধ হয়ে থাকা ওই স্পঞ্জ আয়রন কারখানাটিতে বেশ কিছু দিন ধরেই লুঠপাট চলছে। লুঠের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আসানসোলের দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে চুরির বিষয়ে বিশদে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
|
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ সফিক আলি। তার বাড়ি বর্ধমানের রায়না থানার বেরল গ্রামে। সোমবার ইন্দাস থানায় সফিকের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বনবেড়িয়া গ্রামের এক তরুণী। মঙ্গলবার ধৃতকে বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে সফিকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। তাঁদের বাড়িতে একাধিকবার সফিক গিয়েছেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন।
|
মাধ্যমিকে মনের মত ফল না হওয়ায় খুঁতখুঁতানি ছিল। এরপর ভাল ফল করার জেদটা আরও বেড়ে যায়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ খাতড়া হাইস্কুলের সেই দীপাঞ্জন কুণ্ডুর নাম রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ বলে ঘোষণা করায় স্বভাবতই আত্মতৃপ্ত ছেলেটি। শুধু কী দীপাঞ্জন? সেই তৃপ্তি ছুঁয়ে গিয়েছে তাঁর পরিবার থেকে স্কুলের শিক্ষকদেরও। বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলমহলের এই স্কুলের শিক্ষকরাই তাঁকে স্কুলের ফাঁকে পড়া বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বাবার দর্জি দোকানের আয় সামান্য জেনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষকরা। কলা বিভাগ থেকে পাঁচটি বিষয়ে ‘লেটার মাকর্স’ নিয়ে তিনি ৪৭১ নম্বর পেয়েছেন। দীপাঞ্জন বলেন, “অর্থের অভাবে আমার পড়াশোনা বন্ধ হতে দেননি শিক্ষকরা। আমার এই সাফল্যের পিছনে প্রধান কারিগর তাঁরাই।” জেলার তথাকথিত ভাল স্কুলগুলিকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে পিঠনে ফেলে দেওয়া খাতড়া হাইস্কুলের শিক্ষকরাও প্রিয় ছাত্রের সাফল্যে খুশি। গর্বিতও। স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের এতদিনকার রেকর্ডও ভেঙেছেন দীপাঞ্জন। প্রধান শিক্ষক চিত্ত হাজরা বলেন, “দীপাঞ্জনের মেধা ও পরিশ্রমে এই সাফল্য। সার্বিক ভাবেও স্কুলের ফল ভাল হয়েছে।” তাঁর ব্যাখা, স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। সেই সঙ্গে শিক্ষক-পড়ুয়া সকলের মিলিত চেষ্টায় এই সাফল্য। পড়ার খরচ তোলার জন্য মাধ্যমিক পড়ার সময় থেকেই লোকের বাড়িতে দীপাঞ্জন গৃহ শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। উচ্ছ্বসিত বাবা মনোজ কুণ্ডু বলেন, “ওর অদম্য জেদ, অধ্যবসায়ের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের অক্লান্ত চেষ্টার জন্যই এই রেজাল্ট।” আর মা রেখা কুণ্ডুর দুশ্চিন্তা, “ওর বাবা দর্জির কাজ করে সারাদিনে যা রোজকার করেন, তাতে কোনওরকমে সংসার চলে। ওকে পড়াব কীভাবে?’
|
সাঁইথিয়া রেল মাঠে সোমবার থেকে শুরু হল নেতাজি সুভাষ মেলা। উদ্বোধন করেন এসআরডিএর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল। এই মেলা ১৬ জুন শেষ হবে। |