সবুজ আবির, বাজি-পটকা। সকাল থেকেই সরগরম ছিল নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প। কংগ্রেস ক্ষমতা ধরে রাখল। বামফ্রন্ট তাদের এক মাত্র আসনটিও হারাল। তৃণমূল একটি মাত্র আসন পেয়েছে। তবে তারাই হারিয়েছে কংগ্রেসের পুরপ্রধানকে। জয়ের পরে শঙ্কর সিংহ বলেন, “আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল।” টান টান উত্তেজনার মধ্যেই সকালে রানাঘাটের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে গণনার কাজ শুরু হয়। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদই কুপার্স ক্যাম্প থেকে তিন কিলোমিটার দূরের রানাঘাটে গাড়ি, ছোট লরি ভাড়া করে হাজির হয়েছিলেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীরা। ছিলেন দু’দলের নেতারাও। |
যখনই কোনও একটি ওয়ার্ডের ফল প্রকাশিত হচ্ছে গণনাকেন্দ্র থেকে সে খবর ছুটে এসে দিয়ে যাচ্ছিলেন দলীয় কর্মীরা। ফোনে সঙ্গে সঙ্গে সেই খবর পৌঁছে যাচ্ছিল কুপার্সেও। সেখানে পাড়ায় পাড়ায় কংগ্রেস, তৃণমূল কর্মীরা অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের শক্ত ঘাঁটি ধরে শেষ পর্যন্ত রাখতে পারছেন জেনে একটি করে ওয়ার্ডের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে শুরু হয়ে যাচ্ছিল কংগ্রেস কর্মীদের আনন্দ উল্লাস। ছন্দপতন ঘটে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফল জানার পরে। কংগ্রেসের পুরপ্রধান নৃপেন্দ্রনাথ হাওলাদার ওই ওয়ার্ডে হেরে গিয়েছেন তৃণমূলের দিলীপকুমার দাসের কাছে।
স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের আবীর বিশ্বাসের দাবি, “এই নির্বাচনে ব্যাপক কালো টাকা ব্যবহার করেছে কংগ্রেস। তবে, দুর্নীতির চূড়ামণি চেয়ারম্যানকে পরাজিত করতে পেরেছি।” তিনি বলেন, “ক্ষমতায় না এলেও আমাদের ভোট বেড়েছে। গত পুরসভা নির্বাচনে আমরা মোট ভোটের ২ শতাংশ পেয়েছিলাম। এ বার পেয়েছি ৩৬.২২ শতাংশ। আমরা ক্ষমতায় না এলেও প্রতিশ্রুতি মতো এখানে হাসপাতালে তৈরি করব।” |
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন... |
|
|
গত বার এই নোটিফায়েড এলাকায় একটি আসনে জিতেছিল সিপিএম। এ বার তারা খাতাই খুলতে পারল না। এমনকী, মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে তারা দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের ভোট ভাগাভাগির পরেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বামফ্রন্টের স্থান হয়েছে তৃতীয়। শতকরা ভোট ব্যাপক হারে কমেছে। গত বার বামফ্রন্ট পেয়েছিল শতকরা ৪২ ভাগ ভোট। এ বার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২.৪ শতাংশে। এ বার দলের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “এখানে আমাদের ফল সত্যিই খুব খারাপ হয়েছে। কেন খারাপ হয়েছে, তা এখনই বলা যাবে না।”
গণনাকেন্দ্র থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের চাকদহের সিংহির বাগানের বাড়িতে থেকেই সারা দিন গণনার খবর নিয়েছেন শঙ্কর সিংহ। তিনি বলেন, “মুখে উন্নয়নের কথা বললেও স্থানীয় বিধায়ক এখানে উন্নয়নের টাকা আটকে দিয়েছেন। যা ৩৪ বছরের বাম শাসনেও হয়নি।” |